নয়াদিল্লি: সঞ্জয় লীলা বনশালীর ছবি ‘পদ্মাবৎ’-এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে তাণ্ডব চলছে, তার দায় অস্বীকার করলেন করণী সেনার প্রধান লোকেন্দ্র সিংহ কালভী। তিনি বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত যা হয়েছে তার সবটাই বনশালীর দোষে। এটা তাঁরই কার্যকলাপ ও চক্রান্ত। আমরা নিজেদের মতো করে ছবিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তবে আমরা হিংসার পক্ষে না। আমরা ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব। তবে হিংসা এর জবাব না। আমরা কোনওদিন রানী পদ্মাবতীর মর্যাদা রক্ষা করা থেকে পিছু হঠব না। আমরা জনতা কারফিউ চালাব।’




‘পদ্মাবতী’-র শ্যুটিং শুরু হওয়ার পর থেকেই তাণ্ডব চালাচ্ছে করণী সেনা। সেটে ভাঙচুর-আগুন, রানি পদ্মাবতীর চরিত্রে অভিনয় করা দীপিক পাড়ুকোনের নাক কাটার হুমকি, বনশালীকে হুমকি, ছবিটি মুক্তি পেলে হলে ভাঙচুর, বোমা রাখার হুমকিও দিয়েছে করণী সেনা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনও চলছে তাণ্ডব। আজ আমদাবাদে একটি শপিং মলে ভাঙচুর করেছে করণী সেনা। গাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছেন এই কট্টরপন্থী সংগঠনের কর্মীরা। দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরোধও করা হয়। কিন্তু তারপরেও কালভীর দাবি, তাঁরা হিংসাকে সমর্থন করেন না। যদিও বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন।

আমদাবাদে হিংসার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে করণী সেনার ৪৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুম্বইয়ে আটক করা হয়েছে অন্তত ১০০ জন বিক্ষোভকারীকে। উত্তরপ্রদেশের মেরঠে একটি শপিং মলে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ওই মলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজস্থানে প্রবেশ করলে সেন্সর বোর্ডের প্রধান প্রসূন জোশীর উপর হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে করণী সেনা। সে কথা মাথায় রেখে আগামীকাল থেকে জয়পুর সাহিত্য উৎসবের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন জয়পুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অগ্রবাল। চিত্তৌরগড় দুর্গেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।



মথুরার ভূতেশ্বর রেলস্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। গুরুগ্রামে ওয়াজিরপুর-পতৌদি সড়ক অবরোধ করা হয়। তাণ্ডবের আশঙ্কায় লখনউয়ের সিনেমা হলগুলির বাইরে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল রাতে করণী সেনার চিত্তৌরগড় শাখার সভাপতি গোবিন্দ সিংহ খাংগারোত ও সহ-সভাপতি কমলেন্দু সিংহ সোলাঙ্কির বাসভবনে তল্লাশি চালানোর পর তাঁদরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।