মুম্বই: বিদেশ সফরে গিয়ে দেশের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলায় নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ শিবসেনার। ৫ দেশ সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী  গত রবিবার ভারতে দুর্নীতির মূলোচ্ছেদ করার শপথ নিয়ে দোহায় বলেন, তিনি নানা সরকারি প্রকল্পে চুরি, অপব্যবহার রোধ করে বছরে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি রক্ষা করেছেন। অনেককে ‘মধু’ খাওয়া থেকে বঞ্চিত করে তিনি ‘সমস্যায় পড়েছেন’, এমন মন্তব্যও করেছেন মোদী। কিন্তু এজন্য শিবসেনা মুখপত্র ‘সামনা’-য় সমালোচনা করা হয়েছে তাঁর। ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ভারত কত দুর্নীতিগ্রস্ত, তা নিয়ে কথা বলে হাততালি কুড়োলেন প্রধানমন্ত্রী। উনি তো বিদেশের মাটিতে দেশের মুখে চুনকালি দিলেন।


 

পাশাপাশি কেন্দ্রে নতুন সরকার ক্ষমতায় বসার দু বছর বাদে মানুষ তার দুর্নীতি নিয়ে কথা বললে কাকে দোষ দেওয়া হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। বলেছে, কাকে দায়ী করা উচিত? মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতে যা হচ্ছে, সেজন্য কি আমরা গাঁধী পরিবারকে দোষী বলব?

 

এও বলা হয়েছে, মোদী গোটা দেশের মুখ। তাই অন্য রাষ্ট্রগুলি হয়ত তাঁর কথাই বিশ্বাস করবে, সেই মতো এমন পদক্ষেপ করবে যা ভারতীয় অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলতেও পারে। বিরোধীদের প্রতি কটাক্ষ দেশের ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। মোদী বা গাঁধী পরিবারকে খোঁচা দিতে আমেরিকা বা ইউরোপ যাওয়ার দরকার হয় না।

 

তবে শিবসেনা পাশাপাশি এও বলেছে, রবার্ট বঢরা ও গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলাটাই যথেষ্ট। ওরা কোনও অন্যায় করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এখনই।

 

মোদীকে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়ে শিবসেনা বলেছে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার কিছুদিন আগে বলেছেন, তিনি মুখের লাগাম রাখতে না পারায় ক্ষমতা হারিয়েছেন। রাজনীতিকদের এটাই মন্ত্র হওয়া উচিত।