মুম্বই: জেএনইউ ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের ইস্যু তুলে বিজেপিকে আক্রমণ শিবসেনার। জম্মু ও কাশ্মীরে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র সঙ্গে জোট করার পর রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় অভিযুক্ত কানহাইয়ার সমালোচনা করার নৈতিক অধিকার বিজেপির নেই বলে কটাক্ষ করেছে উদ্ধব ঠাকরের দল।
শিবসেনা বলেছে, পিডিপি সভানেত্রী সংসদ চত্বরে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড আফজল গুরুকে স্বাধীনতা সংগ্রামী, শহিদ ভাবতেন। সেই দলের শরিক হয়ে বিজেপি সবচেয়ে বড় পাপ করেছে। এখন নিজেদের সুবিধার জন্য কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা মামলা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা উচিত নয় বিজেপির।
দলীয় মুখপত্র সামনার সম্পাদকীয়তে এ কথা বলেছে তারা।
প্রসঙ্গত, বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপির সঙ্গে মিলে সরকার চালিয়েছিল, গত বছর জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে।
দিল্লি পুলিশ সোমবার আদালতে কানহাইয়া ও অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে বলেছে, কানহাইয়া ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসে মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ভারত-বিরোধী রাষ্ট্রদ্রোহী স্লোগান সমর্থন করেছিলেন। শিবসেনা বলেছে, ২০০৮ এর মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলায় দোষী সাব্যস্ত আজমল কসাবের মতো সন্ত্রাসবাদীকেও আদালতে আত্মরক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তেমনই কানহাইয়াও তা পাবেন আশা করা যায়। ওঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্যি না হলে আদালতে দাঁড়াবে না।
কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্রে এখনও বিজেপির সঙ্গী দলটি বলেছে, কানহাইয়া সুবক্তা। তিনি বেকার, বিক্ষুব্ধ যুবকদের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাই আফজল গুরুর প্রশংসা বা কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবি সমর্থন করতে পারেন না। তবে যা-ই হোক, বিজেপির কী নৈতিক অধিকার আছে কানহাইয়ার নিন্দা করার?
শিবসেনা আরও বলেছে, ইভিএমে ভোট হয় না বলেই কি জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিততে পারে না আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি? বিদ্রূপের সুরে তারা বলেছে, মহারাষ্ট্রের বিজেপি মন্ত্রী গিরীশ মহাজন সম্প্রতি দাবি করেছেন, যেখানেই বলা হবে, তিনি গিয়ে ম্যাজিক দেখিয়ে দলের জয় সুনিশ্চিত করবেন। আমরা জেএনইউয়ের দেশদ্রোহীদের হারাতে তাঁকে ওখানে পাঠাতে বলছি বিজেপিকে। তবে ওঁকে বলে দেবেন, জেএনইউয়ে কিন্তু ইভিএমে ভোট হয় না।