শ্রীনগর: ১৫ ঘণ্টার অপারেশন শেষে অবশেষে রবিবার দুপুরে শ্রীনগরের ডিপিএস স্কুলের ভেতর লুকিয়ে থাকা দুই জঙ্গির মৃত্যু হল। ঘটনায় আহত তিন সেনা জওয়ান।
আগের দিন অর্থাৎ শনিবার, বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট নাগাদ জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের ওপর টহলরত সিআরপিএফ-এর ২৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের রোড ওপেনিং পার্টি (আরওপি) জওয়ানদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। নিহত হন এক সিআরপিএফ অফিসার। আহত হন ২ জন।
বাহিনী পাল্টা জবাব দিতেই নিকটবর্তী শ্রীনগরের দিল্লি পাবলিক স্কুলে ঢুকে লুকিয়ে পড়ে জঙ্গিদের একটি দল। এরপরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার ভোর রাত ৩টে ৪০ মিনিট থেকে জঙ্গি ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়।
কয়েক ঘণ্টা ধরে দুপক্ষের লড়াই চলার পর জওয়ানদের গুলিতে খতম হয় দুই আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গি। এই লড়াইয়ে আহত হন এক জওয়ান। জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি এস.পি বেদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে স্কুলের কর্মী ও অন্যান্য লোকেদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে শ্রীনগরের এই দিল্লি পাবলিক স্কুলটি। সেখানে প্রায় ৪০টি ঘর রয়েছে, তাই যেকোনও জায়গায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা ছিল বলে জানিয়েছিলেন ডিজিপি।
জঙ্গিদের খুঁজের বের করতে প্রতিটি ঘরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়, সঙ্গে সাহায্য নেওয়া হয় ড্রোন ক্যামেরা ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন গেজেটের। এই দিয়েই জঙ্গিদের ওপর নজরদারি চালায় সেনা জওয়ানরা। অবশেষে আজ দুপুরে স্কুলের ভেতর লুকিয়ে থাকা দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়।
দুই জঙ্গির মৃত্যুর পর স্কুলে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালায় বাহিনী। আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে নেই তা নিশ্চিত করা হয়। এদিকে, সিআরপিএফ-এর ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা।