লখনউ: তাঁর ভাইয়ের উপর হামলা চালানোর জন্য দুষ্কৃতীদের নিয়োগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ কমলেশ পাসোয়ান ও ব্যবসায়ী সতীশ নাগালিয়া। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক কাফিল খান। তিনি বলেছেন, ‘বলদেব প্লাজার মালিক সতীশ নাগালিয়া ও বনসগাঁওয়ের সাংসদ কমলেশ পাসোয়ান আমার ভাইকে মারার জন্য শ্যুটার নিয়োগ করেন। আমার ভাইয়ের সঙ্গে পাসোয়ানের কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। আমার কাকা একটি জমি কিনেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে সেই জমি দখল করে নেন কমলেশ ও সতীশ। এফআইআর দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট তাঁদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। তাঁরা সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশের আর্জি জানান।’


কাফিল আরও বলেছেন, ’৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অন্য কারও নির্দেশে কাজ করছে। তাঁদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট।’

গত রবিবার রাতে কাফিলের ভাই কাশিফ জামিলকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর ঘাড়ে ও হাতে গুলি লাগে। গোরক্ষপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। কাফিলের অভিযোগ, পুলিশ অকারণে তাঁর ভাইয়ের অস্ত্রোপচারে দেরি করিয়েছে। এর ফলে তিন ঘণ্টা নষ্ট হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কাফিলকে চিঠি দিয়ে তাঁর পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর দাবি, এই ঘটনাতেই উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বোঝা যাচ্ছে।