মুম্বই: মহারাষ্ট্রে সম্ভবত চূড়ান্ত হয়ে গেল শিবসেনা ও এনসিপি-কংগ্রেস শাসন। শোনা যাচ্ছে, ১৭ তারিখ বাল ঠাকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে জোটের ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা হবে। শিবসেনা অভিন্ন ন্যূনতম নীতির খসড়ায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব ও উপ মুখ্যমন্ত্রিত্ব সংক্রান্ত যে প্রস্তাব রেখেছে তা মেনে নিয়েছে এনসিপি-কং জোট। ঠিক হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সেনার আর আড়াই বছর ধরে উপ মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাবে কংগ্রেস ও এনসিপি।

এবার এই খসড়া পাঠানো হবে শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে ও সনিয়া গাঁধীর কাছে, চূড়ান্ত সিলমোহরের জন্য। তবে উদ্ধব না আদিত্য- সেনার কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।

মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার ৩ দিন পর ফের সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে পুরো দমে। গতকাল প্রথম সরকার গঠনের জন্য শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস নেতারা এক সঙ্গে বসেন। তৈরি হয় অভিন্ন ন্যূনতম নীতির খসড়া। তবে সূত্রের খবর, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সনিয়া গাঁধী, শরদ পওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরে।

শোনা যাচ্ছে, খসড়া অনুযায়ী, শিবসেনা প্রস্তাব দিয়েছে, তারা মুখ্যমন্ত্রী পদ পাবে। কংগ্রেস ও এনসিপি পাবে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ, আড়াই বছর ধরে। শিবসেনা নাকি দফতর ভাগ বাঁটোয়ারারও প্রস্তাব দিয়েছে, তারা বলছে, স্বরাষ্ট্র ও ডেপুটি স্পিকারের পদ এনসিপি পাবে, কর ও বিধানসভা অধ্যক্ষের পদ যাবে কংগ্রেসের কাছে। অর্থ, নগরোন্নয়ন ও বিধান পরিষদের অধ্যক্ষের পদ সেনা নিজেদের হাতে রাখতে চায়।

এর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ টুইট করেছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। চার লাইন শায়েরি আউড়ে নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন তিনি।



এর মধ্যে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। তিনি আবার তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপিরই সরকার হবে।

২১ দিন ধরে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে অচলাবস্থা চলছে। কোনও দলই বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কারা সরকার গড়বে, তা নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। অশান্তির জেরে দীর্ঘদিনের পুরনো বিজেপি-শিবসেনা জোট পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে, সেনা এখন তাদের পুরনো দুশমন কংগ্রেস ও এনসিপির হাত ধরতে চায়।