রাঁচি: আত্মসমর্পণ করলেন ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত মাওবাদী নেতা কুন্দন পাহান। তাঁর মাথার দাম ছিল ১৫ লক্ষ টাকা। পুলিশ আধিকারিকদের হত্যা সহ ১২৮টি মামলা রয়েছে ঝাড়খণ্ডের আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক কুন্দনের নামে। এহেন মাওবাদী নেতা আজ পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি জীবনের ২০ বছর নষ্ট করেছি। এবার রাজ্যের উন্নয়নের কাজে সাহায্য করতে চাই। মাওবাদী হিংসায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের জন্য আমি দুঃখিত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেই ঘটনাগুলির দায় নিচ্ছি আমি।’

২০০৮ সালে সারান্ডার বালিবায় নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালিয়ে হত্যা, রাঁচির বুন্দুর কাছে পুণ্ডিগিরি অঞ্চলে ডিএসপি প্রমোদ কুমারকে হত্যা, স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের ইন্সপেক্টর ফ্রান্সিস ইন্দওয়ারকে হত্যা, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ক্যাশ ভ্যান থেকে পাঁচ কোটি টাকা লুঠ সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে কুন্দনের বিরুদ্ধে। ফলে তিনি আত্মসমর্পণ করায় খুশি পুলিশ।

কুন্দনের আত্মসমর্পণের সময় ঝাড়খণ্ড পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল আর কে মালিক, আইজি (সিআরপিএফ) সঞ্জয় লাঠকর, ডিআইজি এ ভি হোমকর সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা হাজির ছিলেন। তাঁদের কাছেই আত্মসমর্পণ করেন কুন্দন।

ডিজি বলেছেন, কুন্দন নিজের ভুল বুঝতে পেরে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁকে অনুসরণ করে বাকিদেরও হিংসার পথ ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসা উচিত। ডিজিপি ডি কে পাণ্ডের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার ‘নয়ি দিশা’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাওবাদীদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরার শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আইজি (সিআরপিএফ) বলেছেন, মাওবাদীরা তাঁদের সংগঠনের অসাড়তা বুঝতে পেরে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসছেন।