আমদাবাদ: গুজরাতের ভালসাদ জেলার এক কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ট্রামাডল নামে এক ধরনের নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করল ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স বা ডিআরআই, যা মধ্য প্রাচ্যের ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসবাদীরা ব্যবহার করে থাকে বলে তাদের কর্তাব্যক্তিরা দাবি করেছেন। ওই কারখানার দুজন পার্টনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

নার্কোটিক ড্রাগস ও সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স(এনপিডিএস) আইনে নিষিদ্ধ ওষুধের বেআইনি উত্পাদনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট খবর ছিল ডিআরআইয়ের আমদাবাদ জোনাল ইউনিটের কাছে। তারপরই অভিযান হয় সারিগাম গ্রামের ওই ওষুধ কারখানায়। তল্লাসি দলটি দেখে, কারখানাটিকে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ সাইকোট্রপিক ওষুধ তৈরির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। মোট ৬.৭ কোটি ট্রামাডল ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল বাজেয়াপ্ত করে যেগুলি কোথাও পাঠানোর কথা ছিল। এছাড়া দু টনের বেশি খোলা ট্রামাডল ট্যাবলেট ও ৮৭০ কেজি কাঁচামালও বাজেয়াপ্ত করে অভিযান চালানো দলটি।
ডিআরআই জানিয়েছে, ট্রামাডল এক ধরনের সিনথেটিক ওপিওয়েড ওষুধ, যা নেশার সামগ্রী হিসাবে নাইজেরিয়া, ঘানার এক বড় অংশের মানুষের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় কেননা তাতে নাকি মন মেজাজ ফুরফুরে থাকে ওদের। এছাড়াও ট্রামাডল মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধকবলিত এলাকার আইসিস সন্ত্রাসবাদীরাও পছন্দ করে বলে শোনা যায়। ওরা ক্লান্তি, অবসাদ, যন্ত্রণার উপশম হিসাবে এই ওষুধ খায়। যেজন্য ট্রামাডলকে ফাইটার ড্রাগও বলা হয়ে থাকে।
ট্রামাডলের ব্যাপক অপব্যবহারের কথা জানার পরই ২০১৮-র এপ্রিলে তা নার্কোটিক ড্রাগস ও সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনের আওতায় আনা হয়।