নয়াদিল্লি: সাহসিকতার জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার 'উত্তম জীবন রক্ষক পদক' পেলেন গত বছর অনন্তনাগে সন্ত্রাসবাদীদের গুলির মুখেও অসম সাহস দেখিয়ে বাসভর্তি অমরনাথ যাত্রীদের প্রাণ বাঁচানো গুজরাতের বাসচালক শেখ সেলিম গফুর। ১০ জুলাই অনন্তনাগে তীর্থযাত্রীবাহী বাস লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদীরা ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুঁড়লে সাত অমরনাথ যাত্রী নিহত হন, ১৪ জন জখম হন। তবে তার মধ্যেই নিজের প্রাণ বাজি রেখে বাসটি চালিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়ে ৫২ যাত্রীকে রক্ষা করেন গফুর। তাঁরা অক্ষত থাকেন।
আগামীকাল সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে গফুরকে এজন্য পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শৌর্য্য, সাহসিকতার জন্য সর্বোচ্চ সম্মান হিসাবে নাগরিকদের দেওয়া হয় সর্বোত্তম জীবন রক্ষা পদক। গফুর বিরল উপস্থিত বুদ্ধি, সাহসের পরিচয় দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
গফুরকে পরে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এক লক্ষ টাকা পুরস্কারও দেওয়া হবে।
এবার সব মিলিয়ে ১০৭টি পুলিশি সাহসিকতা মেডেল দেওয়া হচ্ছে পুলিশ জওয়ানদের। সবচেয়ে বেশি ৩৮টি মেডেল পাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। ৩৫টি পদক পাচ্ছে সিআরপিএফ।
পরিসংখ্যানে প্রকাশ, সবচেয়ে বেশি সাহসিকতা পদক পাচ্ছেন জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযানে যুক্ত নিরাপত্তা জওয়ানরা। উত্তরপূর্ব ভারত ও মাওবাদী সমস্যা কবলিত অঞ্চলে কর্মরত জওয়ানরা পাচ্ছেন ৩৫টি সাহসিকতার মেডেল। মরনোত্তর সাহসিকতা পুরস্কার দেওয়া হল সাত শীর্ষ পুলিশ অফিসারকে। এঁদের মধ্যে আছেন ছত্তিশগড় পুলিশের ৬ জওয়ান যাঁরা সুকমার চিন্তনগুফায় মাওবাদী দমন অভিযানে প্রাণ দিয়েছেন। সিআরপিএফের এএসআই নন্দকিশোর প্রসাদ ২০১৬-য় ৩ জুন বিএসএফ জওয়ানদের নিয়ে যাওয়া বাসে হামলা চালিয়েছিল এক জঙ্গি। মোকাবিলায় সাহসিকতার নজির গড়ে পুলিশ মেডেল পেয়েছেন তিনি।