নয়াদিল্লি: চালকহীন ট্রেন! তাও যাত্রীবাহী! এমনই কাণ্ড ঘটতে চলেছে এবার ভারতে। রাজধানী দিল্লির বুক চিরে ছুটে চলবে দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় ট্রেন। আর ২৮ ডিসেম্বর সেই রেল পরিষেবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


দিল্লির জনকপুরী ওয়েস্ট থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে চালকহীন স্বয়ংক্রিয় মেট্রো। এটাই হবে দেশের প্রথম চালকহীন রেল পরিষেবা। বৃহস্পতিবার দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন এই ঘোষণা করেছে।

পাশাপাশি, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মেট্রো স্টেশনগুলিতে যোগাযোগহীন পরিষেবাগুলির মধ্যে, খুবই সীমিত ও নিয়ন্ত্রিরভাবে নগদ লেনদেনের অনুমতি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমআরসি। তবে, টোকেন বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য জনগণকে নগদহীন পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ডিএমআরসি এক বিবৃতিতে বলেছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যাজেন্টা লাইন (জনকপুরী পশ্চিম থেকে বোটানিকাল গার্ডেন) -এ দেশের প্রথম সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় চালকবিহীন ট্রেন চলাচলের সূচনা করবেন এবং ভ্রমণের জন্য সম্পূর্ণ কার্যকরভাবে সর্বভারতীয় স্তরে প্রচলিত গতিশীলতা কার্ড (এনসিএমসি) চালু করবেন। ২২ ডিসেম্বর থেকে এই কার্ডের বিনিময়ে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বিমানবন্দর এক্সপ্রেস লাইনে (নয়াদিল্লি থেকে দ্বারকা সেক্টর ২১) যাতায়াত করা যাবে।"

দিল্লি মেট্রো এখন পর্যন্ত ভারতের বৃহত্তম মেট্রো এবং দেশের সবচেয়ে পুরনো মেট্রো সার্ভিসগুলির মধ্যে দ্বিতীয়, কলকাতা মেট্রোর ঠিক পরেই। ২০০২ সালের ২৫ ডিসেম্বর শাহদারা থেকে তিস হাজারি পর্যন্ত মাত্র ছয়টি স্টেশন নিয়ে 8.২ কিমি বিস্তৃত মেট্রো সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী।

ডিএমআরসির এখন ২৪২ স্টেশন সহ ১০টি লাইন রয়েছে এবং দিল্লি মেট্রোর দৈনিক যাত্রীসংখ্যা ২৬ লক্ষেরও বেশি। দিল্লি মেট্রো চালকবিহীন ট্রেনগুলি ম্যাজেন্টা লাইন এবং পিঙ্ক লাইনে চলাচল করবে, এটি ডিএমআরসির তৃতীয় পর্বের অংশ হিসাবে তৈরি করা হয়েছে।