লখনউ: নবাবের শহর লখনউ। নবাবি মেজাজ ও মর্জির অনেক নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভুলভুলাইয়ার এই শহরে। নবাবদের স্মৃতি জড়িত লখনউয়ে প্রথমবার ড্রোন উড়িয়ে পৌঁছে দেওয়া হল গরম চা। এই ড্রোন যিনি তৈরি করেছেন তিনি বিক্রম। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও তেলঙ্গানা সরকারের হয়ে কাজ করেন তিনি। ২০১৫-তে ড্রোন তৈরির কাজ শুরু করেন আইআইটি কানপুরের প্রাক্তনী বিক্রম। ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য ড্রোন তৈরি করেন তিনি। এবার লখনউয়ের একটি নয়া খাবার সরবরাহকারী সংস্থার জন্য তিনি ওই ড্রোন তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রম। অনলাইন কাকা নামের ওই স্টার্টআপের জন্য বিক্রম ওই ড্রোনের সফল পরীক্ষা করেছেন। ডিজিসিএ-র অনুমতি পাওয়ার পর লখনউয়ের আকাশ পথে সম্ভবত ড্রোনে করে খাবার সরবরাহ করতে দেখা যাবে। বিক্রমের দলে রয়েছেন ৮ জন। এক্ষেত্রে যে ড্রোন তৈরি হয়েছে সেটি ২ কেজি ওজনের জিনিস নিয়ে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। বিক্রম জানিয়েছেন, ২০২০-র মধ্যে ড্রোন ইন্ডাস্ট্রি একশ কোটি ডলার ছাপিয়ে যাবে। অনলাইন কাকা-র প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শহরে তাদের ব্যবসার বহর বেশ বড়সড়। ১০০ থেকে ১৫০ টি রেস্তোরাঁর খাবার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন তাঁরা। প্রায় ১৫০ লোক খাবার পৌঁছনোর কাজে যুক্ত। ওই প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এখন লখনউয়ের পথে যানজট লেগেই রয়েছে। একে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই তাঁরা এ ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করছেন। সেই কাজটাই পরীক্ষামূলকভাবে করা হল। ড্রোন উড়তে উড়তেই নির্দিষ্ট ঠিকানায় চায়ের ডাব্বা ফেলে দিয়ে চলে গেল। গ্রাহক বাড়িতে বসেই পেয়ে গেলেন রেস্তোরাঁর গরম চা।