শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি: পুলওয়ামায় সিআরপিএফের ওপর জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা আরো আঁটোসাঁটো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।


আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের অমরনাথ যাত্রা। খবরে প্রকাশ, পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাত্রা চলাকালীন ২৪-ঘণ্টা নজর রাখবে ড্রোন। গোটা যাত্রাপথের ছবি তুলে তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যাত্রা চলাকালীন যাতে কোনও নাশকতামূলক এবং অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে, তার জন্য চার-স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পূণ্যার্থীরা একবার লখণপুরে প্রবেশ করলে, তাঁদের নিরাপত্তার ভার কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ-এর হাতে চলে যাবে।

তাঁদের সঙ্গ দেবে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এসকর্ট অ্যান্ড গার্ডস। রিপোর্ট অনুসারে, সেনাবাহিনী ও বিএসএফ গোটা রুটে যৌথ প্যাট্রলিং করবে। অধিক উচ্চতায় পাহারা দেবেন সেনা জওয়ানরা। সূত্রের খবর, গোটা রুট জুড়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনী এবং ৮ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন হবে অমরনাথ যাত্রার দুটি রুট—একটি দক্ষিণ কাশ্মীরের পহলগাম এবং আরেকটি উত্তর-পূর্বের সোনমার্গে।

এদিকে অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আগামীকাল জম্মু ও কাশ্মীরে পৌঁছছেন রাজনাথ সিংহ। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। উচ্চ-পর্যায়ের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন শীর্ষ আমলা, পুলিশ এবং সেনা আধিকারিকরা।

শুধু অমরনাথ যাত্রাই নয়, কাশ্মীর উপত্যকার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়েও রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাজনাথ। পুলওয়ামায় সিআরপিএফের বাসে জঙ্গি হামলার পর রাজনাথের নির্দেশে রাজ্যে তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এসেছে। গত শনিবার হওয়া ওই হামলায় ৮ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। আরও ২৫ জন আহত হন।

ওই কমিটির কাজ হল, হামলার কারণ সম্পর্কে তদন্ত করা, খতিয়ে দেখা যে নিরাপত্তা বা গোয়েন্দা বিভাগে কোনও গাফিলতি ছিল কি না। পাশাপাশি, বিভিন্ন সীমান্ত-সমস্যা যেমন – অনুপ্রবেশ, সংঘর্ষবিরতি নিয়েও রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন রাজনাথ। সেনা ও বিএসএফ-এর শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলবেন তিনি বলে জানা গিয়েছে।