নয়াদিল্লি: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত রামজাস কলেজে সেমিনারে বলতে ডাকা হয়েছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) গত বছরের বিতর্কিত অনুষ্ঠানে জড়িত থাকার ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় অভিযুক্ত উমর খালিদ ও জেএনইউ ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সদস্য শেহলা রসিদকে। কিন্তু কেন ওদের মতো 'দেশ-বিরোধীদের' ডাকা হল, প্রশ্ন তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি অনুগামী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (ডিইউএসইউ)-এর সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে খালিদ, শেহলাকে আমন্ত্রণ বাতিল ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রামজাস কলেজের অধ্যক্ষ রাজেন্দর প্রসাদের বক্তব্য, সেমিনার চলবে। তবে আমরা ওই দুই ছাত্রের যোগদান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মানে এই নয়, আমরা অবাধ মতপ্রকাশের পক্ষে নই, কিন্তু ক্যাম্পাসে শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই সিদ্ধান্তটা নিতে হল আমাদের।
ঠিক ছিল, দুদিনের 'কালচার অব প্রটেস্ট' শিরোনামে হতে চলা সেমিনারে দেশের 'আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান' এই বিষয়ের ওপর বলবেন খালিদ। ঘটনাচক্রে, তিনি এই বিষয়ের ওপরই পিএইচডি করেছেন।
সেমিনারের আয়োজক তথা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর বিনিতা চন্দ্র বলেন, ওরা ইট-পাথর ছোঁড়ে, সেমিনার কক্ষে তালা মেরে দেয়, বিদ্যুত্ সংযোগ ছিন্ন করে দেয়। কেন পুলিশ বাধা দিল না, ভেবে পাচ্ছি না। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবিভিপি।
ডিইউএসইউ সভাপতি অমিত তানোয়ার হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সেমিনারে বলার জন্য দেশ-বিরোধীদের আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধী আমরা। আমরা অনুষ্ঠান বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিয়েছি। তবে কোনও হিংসা হয়নি। বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল।
এদিকে খালিদ এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, শতাধিক এবিভিপি-র ছদ্মবেশী জাতীয়তাবাদী হকি স্টিক, পাথর নিয়ে রামজাস কলেজের বাইরে জড়ো হয়েছে বলে শুনেছি। আমার মতো দেশ-বিরোধীকে আসতে দিলে বড় মাপের হাঙ্গামা করবে বলেও শাসানি দিয়েছে ওরা। কীসের ভয় এবিভিপির? আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে আলোচনায় ভীত ওরা?