নয়াদিল্লি: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে আগে অনেক অভিযোগ করলেও, আজ ‘হ্যাকাথন’-এ গিয়ে ইভিএম-কে চ্যালেঞ্জ করেনি সিপিএম ও এনসিপি। এই দুই দল ইভিএম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এমনই জানালেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান নসীম জৈদী।

আজ ছিল নির্বাচন কমিশনের বহুচর্চিত ‘হ্যাকাথন’। ইভিএম হ্যাক করা যায় কি না, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জৈদী বলেছেন, শুধু সিপিএম ও এনসিপি-ই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিল। তবে দুটি দলই ইভিএম-এর কার্যপদ্ধতি দেখেই সন্তুষ্ট হয়। তারা আর চ্যালেঞ্জ করেনি। সিপিএম-এর প্রতিনিধিরা বলেছেন, তাঁরা ইভিএম নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট। ইভিএম নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রায়ই এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত নির্বাচন কমিশনের।

এনসিপি-র প্রতিনিধিরা বলেন, মহারাষ্ট্রে সাম্প্রতিক পুর নির্বাচনে ইভিএম-এ সমস্যার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণেই তাঁদের সন্দেহ হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়, মহারাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন পুর নির্বাচনে যে ইভিএমগুলি ব্যবহার করেছিল, সেগুলি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নয়। জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ইভিএম আলাদা হওয়ার ফলে যে সমস্যা হচ্ছে, সেটা সমাধানের আর্জি জানান এনসিপি প্রতিনিধিরা।

আজ সকাল থেকে শুরু হয় হ্যাকাথন। সিপিএম ও এনসিপি তিন জন করে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল। পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত ১৪টি ইভিএম রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। সিপিএম ও এনসিপি ইভিএম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করায় খুশি নির্বাচন কমিশন।