নয়াদিল্লি: ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে কারচুপি নিয়ে যখন সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা, ঠিক তখনই যন্ত্রের সমর্থনে আসরে নামল খোদ নির্বাচন কমিশন। তাদের ‘খোলা চ্যালেঞ্জ’, কেউ একজন ইভিএমে কারচুপি করে দেখিয়ে দিক!


সদ্যসমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পরই ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এপ্রসঙ্গে, শুধু সংসদে অভিযোগ তোলাই নয়, একবারে রাষ্ট্রপতি ভবনের দ্বারস্থ হয় বিরোধী-প্রতিনিধিদল।


ওই প্রতিনিধিদলে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী ছাড়াও ছিলেন দলের প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও গুলাম নবি আজাদ, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। স্মারকলিপিতে তাঁরা দাবি করেন, ইভিএম বাতিল করে পুনরায় ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা চালু করতে হবে।


এই প্রেক্ষাপটে এদিন ইভিএম-এর হয়ে জোর সওয়াল করল নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের কটাক্ষের সুরে পাল্টা একহাত নিয়ে কমিশন জানায়, জনগণকে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ, কেউ একটা ইভিএম হ্যাক করে দেখিয়ে দিক।


কমিশনের এক সূত্র জানিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদরা এখানে এসে ইভিএম হ্যাক করার চেষ্টা করতে পারেন। এর জন্য সকলকে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন সময় পর্যন্ত দিতে রাজি কমিশন বলেও জানান ওই কর্তা।


ওই কর্তা যোগ করেন, এই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৯ সালেও একবার এধরনের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল। সেবার, কেউ ইভিএমে কারচুপি করে দেখাতে পারেননি।