নয়াদিল্লি: টাকা তছরুপের অভিযোগে লালুপ্রসাদ যাদবের মেয়ে মিশা ভারতী ও জামাই শৈলেশ কুমারের বাড়িতে হামা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

মিশা- শৈলেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নানা ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করছেন তাঁরা। দিল্লির ঘিতোরনি, বিজবাসন ও সৈনিক ফার্ম এলাকায় তাঁদের তিনটি খামারবাড়িতে তল্লাশি চলছে। অভিযোগ, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মিশা-শৈলেশ এই সম্পত্তিগুলি কিনেছেন।

এর আগে গতকাল লালুপ্রসাদের ১২টি সম্পত্তিতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

জানা গিয়েছে, গতকাল লালুর বাড়িতে যে তল্লাশি চলেছে, তার সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আজকের তল্লাশির কোনও সম্পর্ক নেই। মিশা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আট হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মিশা-শৈলেশের সংস্থা মিশেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চারটি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে এই সংস্থায় টাকা ঢুকেছিল, সেই টাকাতেই দিল্লির নানা জায়গায় খামারবাড়ি কেনেন লালুর মেয়ে- জামাই।

এই ঘটনায় ইডি ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ওই ভুয়ো সংস্থাগুলির মালিক বি কে জৈন ও এস কে জৈনকে। শৈলেশের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাজেশ আগরওয়ালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আয়কর দফতর জানতে চায়, শৈলেশ-মিশা এই সব সম্পত্তি কেনার টাকা কোত্থেকে পেলেন। কিন্তু তাঁদের কাছে কোনও উপযুক্ত জবাব ছিল না। দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ থেকে ২০১৬-র মধ্যে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন দুজনে।

জানা গিয়েছে, আয়কর বিভাগ ও ইডি মিশা-শৈলেশের বিষয়টি যেমন দেখছে, তেমন সিবিআইও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। সেই মামলার আঁচ লাগতে পারে লালুর গায়েও। আয়করের সন্দেহ, মিশা-শৈলেশের বেনামী সম্পত্তিও রয়েছে।