নয়াদিল্লি: ঘোষিত আয়ের উত্সের সঙ্গে সঙ্গতিহীন প্রায় ১০ কোটি টাকা অর্থমূল্যের সম্পত্তি মামলায় ইতিমধ্যেই বীরভদ্র সিংহ, তাঁর স্ত্রী ও অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে এবার তাঁকে জেরার জন্য সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় বীরভদ্র ও বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে (পিএমএলএ) বীরভদ্রের বিবৃতি নথিভুক্ত করতে নতুন করে তলব পাঠানো হয়েছে। ১৩ এপ্রিল এখানে মামলার তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।
এর আগেও বীরভদ্রকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু সরকারি কর্মসূচি রয়েছে, এই যুক্তি দেখিয়ে হাজিরা থেকে অব্যাহতির ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই তাঁর স্ত্রী প্রতিভা ও পুত্র বিক্রমাদিত্যকে এই মামলায় জেরা করেছে ইডি।
২০১৫-র সেপ্টেম্বরে সিবিআইয়ের দায়ের করা অভিযোগকে স্বীকৃতি দিয়ে ইডি বীরভদ্র, তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যদের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনের ফৌজদারি বিধির আওতায় মামলা করেছিল ইডি। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৯ থেকে ২০১১-র মধ্যে ৬.১ কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করেন বীরভদ্র ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা, যার সঙ্গে তাঁদের ঘোষিত আয়ের সামঞ্জস্য ছিল না। পিএমএলএ আইনে বীরভদ্রের ১৪ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
সিবিআইয়ের চার্জশিটেও দাবি করা হয়েছে যে, প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি করেন তিনি, যা কেন্দ্রে মন্ত্রী থাকাকালে তাঁর মোট আয়ের ১৯২ শতাংশ বেশি।