নয়াদিল্লি: রেল হোটেল দুর্নীতি মামলায় এবার ইডি-র নজরে লালুপ্রসাদ যাদবের জামাই রাহুল যাদব।


আর্থিক তছরুপের তদন্তে এবার রাহুলকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। প্রসঙ্গত, রাহুল হলেন লালুপ্রসাদের চতুর্থ কন্যা রাগিনীর স্বামী।


খবরে প্রকাশ, মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রাহুলের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর শাশুড়ি তথা লালুপ্রসাদের স্ত্রী রাবড়িদেবীর অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু সন্দেহজনক লেনদেনের হদিশ পায় ইডি। এরপরই, তাঁকে তলব করার প্রস্তুতি শুরু করা হয়।


জানা গিয়েছে, আগামীকাল তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে রাহুলকে। রেলের হোটেল বরাদ্দ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জেরা করবেন তদন্তকারী অফিসার।


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রাহুলের থেকে তারা বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চাইবে। যেমন- কেন রাবড়িদেবীর অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়। এছাড়া, এই মামলার কেন্দ্রে থাকা ডিলাইট মার্কেটিং নামক সংস্থার সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নও করা হবে রাহুলকে।


ইতিমধ্যেই এই মামলায় রাবড়ি দেবী ও লালুর জ্যষ্ঠ পুত্র তেজস্বী যাদবকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এছাড়া, আরেকটি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় লালুপ্রসাদের আরেক জামাই তথা জ্যষ্ঠ কন্যা মিসা ভারতীর স্বামী শৈলেশ কুমারের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি।


প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে আইআরসিটিসি হোটেলে বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে ইডি লালু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা রুজু করে সিবিআই। তদন্তে নেমে লালু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালায় সিবিআই।


এফআইআরে সিবিআই অভিযোগ তোলে, প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকার সময় ২০০৪-এ ঘুষের বিনিময়ে দুটি কোম্পানিকে আইআরসিটিসি-র হোটেলগুলি রক্ষণাবেক্ষণের ভার তুলে দেন লালু।


প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রেম চাঁদ গুপ্তার স্ত্রীর মালিকানাধীন একটি বেনামি কোম্পানির মাধ্যমে পটনায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জমি হিসেবে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ।


সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি-ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করে।