বছর ৩৬-এর ইমানকে যাতে তাড়াতাড়ি ভিসার বন্দোবস্ত করে দেওয়া যায়, তাই বিদেশমন্ত্রকের দ্বারস্থ হন মুম্বইয়ের ব্যারিয়াট্রিক সার্জন। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কাছে আর্জি জানান তিনি। সুষমা টুইটারে জানান, তিনি অবশ্যই সাহায্য করবেন।
এরপরই কায়রোয় ভারতীয় দূতাবাস জানায়, ভিসা মঞ্জুর। আর কোনও সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, সুষমার হস্তক্ষেপের আগে ৫০০ কিলো ওজনের জন্য ইমানকে ভিসা দিতে অস্বীকার করা হয়। অতঃপর তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন চিকিত্সক।
জানা গিয়েছে, জন্মের সময় ইমানের ওজন ছিল ৫ কেজি। খাওয়া-দাওয়া, জামা-কাপড় বদলানো সহ সমস্ত দৈনন্দিন কাজের জন্যই ইমানকে তার মা ও বোনের ওপর নির্ভর করতে হয়। সূত্রের খবর, এলিফ্যান্টিয়াসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই সারা শরীর ফুলতে শুরু করে তাঁর। ১১ বছর বয়স থেকেই বেশি ওজনের কারণে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। বাড়িতে হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করতে হত। এরপর ব্রেনস্ট্রোকের কারণে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। স্কুলেও যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই আর বিছানা ছাড়তে পারেননি তিনি।