কান্নুর: প্রকাশ্য রাস্তায় বাছুর হত্যা করে কেন্দ্রের গবাদি পশু সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানানোয় গ্রেফতার সমালোচনার মুখে পড়া কেরলের আট যুব কংগ্রেস কর্মী ।


কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রকের গত সপ্তাহে ঘোষিত বিজ্ঞপ্তিতে পশুবাজারে কসাইখানায় জবাই করার জন্য গবাদি পশু কেনাবেচা চলবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে কান্নুরে বাছুর মেরে তার মাংস বিলি করেন কংগ্রেস কর্মীরা। রাজ্যের নানা স্থানে গোমাংস উত্সবও করেন বাম, কংগ্রেস কর্মীরা। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে গোমাংস খাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।

৮ কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কান্নুর জেলা সভাপতি সি সি রতীশের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কেরল পুলিশ আইনের ১২০ এ ধারায় মামলা দায়ের হয়। জনগণের মনে ক্ষোভ ছড়াতে পারে, এমন ভাবে সবার চোখের সামনে কোনও প্রাণীকে হত্যায় অভিযুক্ত করা হয় তাঁদের। দোষী হলে এক বছর পর্যন্ত কারাবাস বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা দুটিই হতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআরে পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনের আরও দুটি ধারা যোগ করা হয় ওদের বিরুদ্ধে । তারপরই গ্রেফতার করা হল আটজনকে, যাঁদের মধ্যে আছেন কান্নুর যুব কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রিজিল মাকুট্টি।

বাছুর হত্যার ভিডিওটি ট্যুইটারে তুলে দেন কেরল বিজেপি সভাপতি কুম্মানাম রাজশেখরন। নৃশংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ চেহারা, কোনও সুস্থ মানুষ এমন আচরণ করতে পারেন না, মন্তব্যও করেন। তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় এতে।

অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করা হয় রিজিল মাকুট্টি, জোসি কান্দাথিল ও সারাফুদ্দিন নামে তিন যুব নেতাকে। নিন্দা করেন রাহুল গাঁধীও। মাকুট্টি অবশ্য তারপরও একটি চ্যানেলে বলেন, কোনও অনুতাপই নেই। প্রতিবাদ জানাতেই ও কাজ করেছি।