পানাজি: কূলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পাকিস্তানের উদ্দেশে তোপ দাগলেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। দূরদর্শনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘কোঙ্কনি ও হিন্দি ভাষায় একটি প্রবাদ আছে, ফাঁকা কলসির বেশি আওয়াজ। তাই পাকিস্তানের কথায় বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। ওরা সবসময়ই গুরুত্ব পাওয়ার জন্য কিছু না কিছু করে যেতে চায়। বিপজ্জনক খেলা খেলছে পাকিস্তান। এটা বুঝতে হবে, পাকিস্তান যাই বলুক না কেন, ভারত যদি পাল্টা জবাব দেয়, তাহলে তাদের সেই আক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু ভারত শান্তি চায়।’


কূলভূষণ প্রসঙ্গে পর্রীকর বলেছেন, ‘আমরা প্ররোচনা চাই না। তাই কূলভূষণকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত পাকিস্তানের। প্রথমত, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। তিনি পাকিস্তানে ছিলেন না। ইরানে ছিলেন কূলভূষণ। ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কূলভূষণকে অপহরণ করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছে তালিবান। এই ধরনের কার্যকলাপের অভ্যাস রয়েছে পাকিস্তানের। তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আমার চুপচাপ বসে থাকব না। যা করার করবে দেশ। পাকিস্তান যদি অন্যায় কাজ করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। পাকিস্তান আগে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলত। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর সেটা বন্ধ হয়েছে। আশা করি পাকিস্তান বুঝতে পেরেছে, ভারতকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা সফল হবে না। কারণ, পাকিস্তানের আক্রমণের পাল্টা জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আছে ভারতের।’

চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে পর্রীকর বলেছেন, ‘এই প্রথম ভারত নরমপন্থা ও শক্তি ব্যবহার করছে। আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকার সময় সশস্ত্রবাহিনীর শক্তি বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছিলাম। ২০১৩ সালে ক্যাগ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ১২১ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে চাইলে ১০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যেই সেগুলি শেষ হয়ে যাবে। এখন মাত্র ২০-২২ ধরনের অস্ত্রের ঘাটতি আছে। আগামী দু বছরের মধ্যে এই ঘাটতি শূন্যতে নামিয়ে আনা হবে। সেনাবিহীনর আর্থিক ক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে।’