জয়পুর: পদ্মাবতী নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের। প্রয়োজনীয় বদল না করে বিতর্কিত ছবিটিকে যাতে মুক্তি দেওয়া না হয়, তা স্মৃতিকে সুনিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতকালই সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে নির্মাতাদের কাছে ফেরত্ পাঠিয়েছে তাদের ছাড়পত্রের আবেদনটি অসম্পূর্ণ রয়েছে বলে জানিয়ে। বসুন্ধরা এও বলেছেন, সেন্সর বোর্ডেরও নিশ্চয়ই ছবিটিকে সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে সম্ভাব্য যাবতীয় প্রভাব, প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখা উচিত।
বসুন্ধরা অবশ্য পাশাপাশি ইতিহাসবিদ, ফিল্ম বিশেষজ্ঞ ও রাজপুত সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যারা পদ্মাবতীর বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখবে। তারপর কমিটির প্রস্তাব মতো প্রয়োজনীয় অদলবদল করা হোক ছবিতে যাতে কোনও সম্প্রদায়, গোষ্ঠীর ভাবাবেগে আঘাত না লাগে।
পদ্মাবতী নিয়ে রাজপুতদের নানা গোষ্ঠী, কার্নি সেনা রাস্তায় নামার পর চলতি বিতর্কে এই প্রথম আসরে নামলেন বসুন্ধরা। রাজপুতদের দাবি, ছবিতে রানি পদ্মিনীর চরিত্রকে অপমান করা হয়েছে। তারা এর ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে হুমকি দিয়েছে ছবির অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালিকে।
ছবিটি রিলিজ হওয়ার কথা ১ ডিসেম্বর। তার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতি ও স্থানীয় মানুষের ভাবাবেগ আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে।
বসুন্ধরার বক্তব্য, পরিচালকদের যেমন তাঁদের ভাবনা অনুযায়ী ছবি তৈরির স্বাধীনতা আছে, তেমনই সংবিধানে আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের আবেগ যাতে ক্ষুন্ন না হয়, সেজন্য সেই স্বাধীনতার গণ্ডিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাই ছবিটি বর্তমান অবস্থায় রিলিজ করার ব্যাপারে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। বসুন্ধরার স্মৃতিকে চিঠি পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বাসভবনে গিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসেছেন মেবার এলাকার এক প্রতিনিধিদল।