নয়াদিল্লি ও বেঙ্গালুরু: মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ। প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।
সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, আগামী অর্থবর্ষের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার ৮.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.৬৫ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএফও-র সিদ্ধান্ত নির্ণয়কারী বোর্ড সেন্ট্রাল বোর্ড অপ ট্রাস্টিজ বা সিবিটি।
এদিন, বেঙ্গালুরুতে সিবিটি-র বৈঠক বসেছিল। সেখানেই সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক সিংহ।
বৈঠকে বলা হয়, ইপিএফও-র আয়ের আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী, আগামী অর্থবর্ষে ৮.৮ শতাংশ সুদ রাখলে কেন্দ্রের আর্থিক ক্ষতি হত ৩৮৩ কোটি টাকার।
তবে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ৮.৮ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার পরও ইপিএফও-র হাতে অতিরিক্ত ৪০৯ কোটি টাকা রয়ে গিয়েছিল। সুদ কমানোর বিরোধিতা যাঁরা করেছিলেন, তাঁদের দাবি ছিল, এই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে চলতি অর্থবর্ষে ৮.৮ শতাংশ সুদের হার বজায় রাখা হোক।
পাশাপাশি, বৈঠকে এ-ও উঠে আসে সুদের হার ০.১ শতাংশ কমিয়ে ৮.৭ করা হলেও সরকারের ঘরে বাড়তি প্রায় ৭০ কোটি টাকা থাকবে। ইপিএফও-র হিসেব অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে তাদের আয় হতে পারে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা।
সূত্রের মতে, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার কমানোর জন্য শ্রমমন্ত্রকের ওপর চাপসৃষ্টি করে আসছে অর্থমন্ত্রক। অর্থমন্ত্রকের দাবি, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) সহ কেন্দ্রের অন্যান্য ছোট সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার যেমন কমানো হয়েছে, সেই অনুপাতে কমাতে হবে শ্রমমন্ত্রকের অধীনে থাকা ইপিএফও।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, গত সেপ্টেম্বরেই স্বল্প সঞ্চয়ে অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে সুদের হার ০.১ শতাংশ কমায় কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, শ্রমমন্ত্রক ইপিএফ-এর সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে চাইলও, কেন্দ্রের চাপে কার্যত কমাতে বাধ্য হল।