লখনউ: সমাজবাদী পার্টি (সপা), বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা), কংগ্রেস-তিন বিরোধী দলকে চ্যালেঞ্জ করে যোগী আদিত্যনাথের দাবি, সব বিরোধী একজোট হলেও বিজেপিকে হারাতে পারবে না। ২০১৯এর সাধারণ নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়লেও বিজেপির কাছে হারতেই হবে।
বুধবারই উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোটগণনা চলছে। বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন বসপা সমর্থিত সপা প্রার্থীরা। চূড়ান্ত ফল বেরনোর আগে তাঁর সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, 'বাবুয়া আর বুয়া' অর্থাত্ অখিলেশ-মায়াবতী একজোট হলেও বিজেপিকে হারাতে পারবে না।
তিনি বলেন, সপা ও বসপার সবচেয়ে বড় লোকসান হল, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের আগে ওদের পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাতে হল। ওরা কার্যত মেনেই নিল যে, নিজেদের শক্তিকে আমাদের হারতে পারবে না, তাই সমঝোতা। আমরা ওদের এই হাত ধরাধরি উপভোগ করছি। দুটোর বদলে এবার আমাদের মাত্র একটা দলের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
বিরোধীরা সুবিধাবাদী আচরণ করছে বলে দাবি করে আদিত্যনাথ বলেন, বসপা, সপা, কংগ্রেস মিলে একটা দল হয়ে যাক না! আমি বুঝি না, জোট হয়নি, শুধু পরস্পরকে সাহায্য করছে, সপা, বসপার এই বক্তব্যের মানে কী? আসলে তো ওদের মধ্যে রফা একটা হয়েছে। আর কংগ্রেসের কথা ধরলে, ২০১৯ এর ভোটের আগেই সনিয়া, রাহুল উত্তরপ্রদেশে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন।
তবে রাজ্যসভায় ফের মনোনয়নের টিকিট না পেয়ে সপা ছেড়ে আসা নরেশ আগরওয়াল ওই দলের রাজ্যসভা প্রার্থী জয়া বচ্চন সম্পর্কে কটূক্তি করলেও কী করে তাঁকে বিজেপি দলে নিল, প্রশ্ন করা হলে আদিত্যনাথের সাফাই, বিজেপির নির্দিষ্ট কিছু মূল্যবোধ আছে। কেউ আমাদের দলে আসতে চাইলে আপত্তি নেই। বহু মানুষ নিজেদের শুধরে নিয়েছে, অতীতে এমন অনেক নজির রয়েছে। রামায়ণ দেখুন, সময়ের ব্যবধানে তার কত চরিত্রেরই হৃদয় বদল হয়েছে।
যে ত্রিপুরায় তিনি ভোটপ্রচার করেছিলেন, সেখানে বিজেপির বিপুল জয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, উত্তরপ্রদেশে যেমন বিজেপি লাল টুপিকে (সপা) তাড়িয়ে গেরুয়াকে এনেছে, উন্নয়ন বলতে যে রং বোঝায়, তেমনই ত্রিপুরায়ও তারা লালকে বিদেয় করেছে।