নয়াদিল্লি: ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ‘কারচুপি’ বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল নির্বাচন কমিশন।


বহুজন সমাজ পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতী এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের দাবিকে খারিজ করে বৃহস্পতিবার কমিশন জানিয়ে দিল, ইভিএম ‘বরাবরের মতোই সম্পূর্ণরূপে বিকৃতি-মুক্ত’।


এদিন এক বিবৃতি দিয়ে কমিশন জানায়, ভিত্তিহীন, জল্পনামূলক ও অবাস্তব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, যা খারিজ করা প্রয়োজন। নির্বাচনী প্যানেলের দাবি, সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর কাছ থেকে কমিশন ইভিএম কারচুপি সংক্রান্ত অভিযোগ বা গ্রহণযোগ্য তথ্য পায়নি।


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসপি-র তাদের দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ দাখিল করেনি। ফলে, তা খারিজ হয়েছে। কমিশন যোগ করে, চালু হওয়া ইস্তক ইভিএম-বিকৃতির সম্ভাবনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছে।


কমিশন বলেছে, সব অভিযোগ খারিজ হয়েছে। তাদের আশ্বাস, ইভিএম সুরক্ষায় যে ধরণের কারিগরি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা দিয়ে এটা বলা যেতেই পারে যে, সেগুলির সঙ্গে কারচুপি করা সম্ভব নয় এবং সর্বোপরি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিরাপদই রয়েছে।


প্রসঙ্গত, গতকালই মায়াবতী জানিয়েছিলেন, ইভিএম কারচুপি নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। একইভাবে পঞ্জাবে ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেজরীবাল। তিনি যোগ করেন, এর ফলে কমিশনের সততা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছে। পাশাপাশি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষের আস্থাও ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে বলে জানান কেজরীবাল।


এদিন সব অভিযোগের জবাব দিতে কমিশন বলেছে, এখনও পর্যন্ত কেউ ইসি-র ব্যবহার করা আসল ইভিএমে কারচুপি করে দেখিয়ে প্রমাণ করতে পারেনি। যা করা হয়েছে, তা নকল তৈরি করা ইভিএমে।