নয়াদিল্লি: এক পদ এক পেনশন থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হওয়া অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান রামকিষাণ গ্রেওয়াল ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংশোধিত পেনশন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছিলেন। কিন্তু হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলায় স্টেট ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মীদের হিসেবের ভুলের জন্যই তিনি কম অর্থ পাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সমস্যা মেটানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। বিতর্কের জবাবে এমনই দাবি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আত্মহত্যা করার আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে দেখা করার জন্য রামকিষাণ সময়ও চাননি বলে দাবি করেছে মন্ত্রক।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কয়েকদিন আগেই এক পদ এক পেনশন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এদিন বলেছেন, সরকার ইতিমধ্যেই ৫,৫০৭.৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রথম কিস্তিতে ৩,৮৮৬.৮৮ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ১,৬০৪.৫৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। দুটি কিস্তি মিলিয়ে মোট ৩০,৪৫,৬২০ জন পেনশনভোগীকে সংশোধিত হারে অর্থ দেওয়া হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানদের কল্যাণে কাজ করার জন্য সরকার দায়বদ্ধ।

অন্যদিকে, এক পদ এক পেনশন চালু করার দাবিতে যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভে বসা অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানদের সংগঠন ইউনাইটেড ফ্রন্ট অফ এক্স-সার্ভিসমেন মুভমেন্ট রামকিষাণের আত্মহত্যা নিয়ে রাজনীতি না করার দাবি জানিয়েছে। এই সংগঠনের পক্ষে মিডিয়া উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অনিল কউল বলেছেন, ‘রামকিষাণ যন্তরমন্তরে আত্মহত্যা করেননি। তাঁর বন্ধুরা যখন পুলিশকে  আত্মহত্যার খবর দেয়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রথমে তাঁকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁর মরদেহ যন্তর মন্তরে আনার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি।’

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল সহ যে সমস্ত রাজনীতিবিদ রামকিষাণের আত্মহত্যা নিয়ে ট্যুইট করেছেন, তাঁদের এক পদ এক পেনশন বিতর্ক থেকে দূরে থাকার দাবি জানিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানদের সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য, সরকারকেই এই সমস্যার সমাধান করার সুযোগ দেওয়া হোক।