নয়াদিল্লি: টুজি স্পেকট্রাম দুর্নীতিতে সব অভিযুক্তই বেকসুর খালাস পাওয়ার পর কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (ক্যাগ) প্রাক্তন প্রধান বিনোদ রাইকে তোপ দাগল কংগ্রেস। আজ লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ বীরাপ্পা মইলি বলেছেন, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বিনোদের। তাঁর সব পদ থেকে ইস্তফা এবং যাবতীয় পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, বিনোদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক।

২০১০ সালে বিনোদের রিপোর্টেই বলা হয়েছিল, টুজি স্পেকট্রামের বণ্টনে দুর্নীতির ফলে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এই রিপোর্ট নিয়ে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়। কিন্তু আজ বিশেষ আদালত প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা ও ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিকে রেহাই দিয়েছে।

আদালতের এই রায়ের পরেই মইলি বলেছেন, ‘বিনোদ রাই উদ্বেগের বশে টুজি-তে সম্ভাব্য ক্ষতি হওয়ার রিপোর্ট দেন। আমার মনে হয় এর জন্যই এনডিএ সরকার তাঁকে পুরস্কৃত করেছে। তাঁকে সব পুরস্কার ফেরাতে হবে। তাঁকে সব পদ ছাড়তে হবে এবং দেশের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। সরকারকেও ক্যাগ রিপোর্ট খারিজ করে প্রস্তাব পেশ করতে হবে। কারণ, ক্যাগ-এর দায়িত্বজ্ঞানহীন রিপোর্টের ফলে দেশের অর্থনীতি ও সারা বিশ্বে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে আক্রমণ করে সৌগত বলেছেন, ‘টুজি দুর্নীতিতে সব অভিযুক্তই ছাড়া পেয়ে গেলেন। এটার উপর ভিত্তি করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা খাড়া করেছিলেন। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে গোটা ইমারত ধসে গেল। জেটলি মুখরক্ষার জন্য বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মুখরক্ষা হবে না। আমি প্রাক্তন ক্যাগ-এর মুখ দেখতে চাই। তিনি বলেছিলেন, ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকার সম্ভাব্য ক্ষতি হয়েছে। তিনি এখন বিসিসিআই-এর কাছ থেকে মোটা বেতন পাচ্ছেন। তাঁর আদালতে এসে নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত করানো উচিত।’