ইম্ফল: পারিবারিক হিংসার শিকার ভারতের মহিলা হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াইখোম সুরজ লতা দেবী। স্বামীর বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসা, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের করেছেন তিনি। বুধবার ইম্ফলে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন এই হকি খেলোয়াড় অভিযোগ করেছেন যে, ২০০৫ –এ বিয়ের পর থেকেই তিনি নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। এজন্য পণ সংক্রান্ত বিষয়ই প্রধান কারণ বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
সুরজ লতা দেবীর অধিনায়কত্বে ভারত ২০০২-এর কমনওয়েলথ গেমস, ২০০৩-এর আফ্রো-এশিয়ান গেমস ও ২০০৪-এর এশিয়া কাপে ভারত তিনটি সোনার পদক পেয়েছিল। তাঁর অধিনায়কত্বে ভারতের কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের ঘটনা অবলম্বনেই তৈরি হয়েছিলেন বলিউডের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘চাক দে! ইন্ডিয়া’ ।
সুরজ লতা দেবীর অভিযোগ, বিয়ের দিন যখন ওই সমস্ত মেডেল ও ছবি নিয়ে এসেছিলাম তখন আমার স্বামী শান্তা সিংহ উপহাস করে বলেছিলেন, এ সব কী কাজে লাগবে?
সুরজ লতা দেবীর অভিযোগ, তাঁর অর্জুন পুরস্কার পাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন তাঁর স্বামী।
প্রাক্তন এই হকি খেলোয়াড় জানিয়েছেন, স্বামীর আচরণ একটা সময় বদলাবে, এই আশাতেই এতদিন নিগ্রহ সহ্য করে এসেছেন। তিনি বলেছেন, এ সব ঘটনা জানাজানি হোক, তা আমি কখনও চাইনি। কিন্তু প্রত্যেকের ধৈর্য্য ও সহ্যের একটা সীমা রয়েছে।
দুই সন্তানের জননী সুরজ লতা দেবী অভিযোগ করেছেন, গত বছরের নভেম্বরে পঞ্জাবের কপূরথালায় রেল কোচ ফ্যাক্টরি আয়োজিত একটি টুর্নামেন্ট পরিচালনার সময় তাঁর স্বামী তাঁকে মত্ত অবস্থায় মারধর করেন । এরপরই তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন।
রবিবার সুলতানপুর লোধির ডেপুটি পুলিশ সুপার সরওয়ান সিংহ বলেছেন যে, গত জানুয়ারিতে মনিপুর পুলিশের কাছে দায়ের করা সুরজ লতা দেবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করেছে। তা সুলতানপুর লোধি থানায় পাঠানো হয়েছে। তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।