বেঙ্গালুরু:  আইআইটি খড়্গপুর থেকে এমএসি গ্র্যাজুয়েট, বর্তমানে ক্যাব সংস্থা ওলায় সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদে কর্মরত। ৩১ বছর বয়সি অভিনব শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই অথার্থ যে সাইটে ভারতের আমজনতার আধার সংক্রান্ত তথ্য রাখা রয়েছে, তিনি সেই সাইটটি হ্যাক করে সমস্ত তথ্য হাতিয়েছেন।


মঙ্গলবার, অভিনবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কর্মসূত্রে এইমুহূর্তে বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুরে রয়েছেন অভিনব। তার আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। পুলিশের দাবি, অভিনব ইউআইডিএআইয়ের সার্ভারে ঢুকে বহু লোকের বিভিন্ন তথ্য যেমন ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি, বয়স, লিঙ্গ হাতিয়ে নিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ৪০ হাজার আধার কার্ড অধিকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে এভাবে। তবে অভিনব এখনও পর্যন্ত কোনও বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন চোখের মণির রঙ বা অন্য কোনও যে বিশেষত্ব নেওয়া হয় আধার তৈরির সময়, সেই সংক্রান্ত তথ্য হাতাতে পারেননি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্প্রতি সরকার যে ই-হসপিটাল  প্রকল্প চালু করেছিল, তার মাধ্যমেই এই সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নেন। অভিনব একটি ই-কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন মোবাইল অ্যাপলিকেশন তৈরি করেছিল এবং সেটি গুগল প্লে-সোটের আপলোড করে দিয়েছিলেন।

যে কোনও ব্যক্তি যদি এই ই-কেওয়াইসি অ্যাপসে ক্লিক করতেন, তাঁরা সোজাসুজি ই-হসপিটাল সার্ভিস অ্যাপস ঢুকে যেতেন। এটা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের সেই প্রকল্প যেখানে আধার সংক্রান্ত নানা তথ্য থাকে। আর এইভাবেই আমজনতার আধার তথ্য চলে যেত অভিনবর হাতে।

পুলিশের দাবি, অভিনব ওলা সংস্থার কর্মচারী। কোরামাঙ্গালার অফিসে কর্মরত। সিটি পুলিশ কমিশনার টি সুনীল কুমার জানিয়েছেন, অভিনব তাঁদের বলেছেন তাঁর তৈরি অ্যাপসে যে বিজ্ঞাপন আসত, সেই বিজ্ঞাপন থেকে তিনি এবছর জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ৪০ হাজার টাকা রোজগার করেছিলেন। পুলিশের ধারনা শুধু বিজ্ঞাপন নয়, এরমধ্যে আরও কিছু রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। আপাতত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে দশ দিনের পুলিশি হেফজাতে রাখা হয়েছে। তবে অভিনবকে যে ধারায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ, সেখানে যদি তাঁর দোষ প্রমাণ হয়, তাহলে তাঁর তিন বছর পর্যন্ত জেল ও দশ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।