এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁর সমস্ত বক্তব্য সত্য কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা গোপন নথি ও তথ্য আখতারকে দিত তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অপরাধীদের খোঁজে রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তিনি জানিয়েছেন, এর সঙ্গে যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কয়েকজন প্রাক্তন আধিকারিকের।
প্রসঙ্গত, চরবৃত্তির অভিযোগে মেহমুদ আখতারকে গত সপ্তাহে আটক করে পুলিশ। জেরার সময় তিনি পাক হাইকমিশনের আরও চার আধিকারিকের নাম ফাঁস করে দেন। হাইকমিশনের সেই চার পাক আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইএসআই-এর হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। সেই চার অফিসারকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবে ইসলামাবাদ। যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে শীঘ্রই এবিষয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে ইসলামাবাদ, পাক বিদেশ মন্ত্রকের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদপত্র ডন।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে চরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত মেহমুদ আখতারকে জেরা করায় বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আসে। দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ ছিল প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তথ্য সংগ্রহ করে, তা পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচার করত অভিযুক্ত আখতার। সেই অভিযোগেই তাকে আটক করে জেরা করা হয়। জেরার সময় সে চার আধিকারিকের নাম ফাঁস করে দেয়। তারা হল কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সইদ ফারুখ হাবিব, প্রথম সেক্রেটারিয়ট খাদিম হুসেন, মুদাসির চিমা এবং শাহিদ ইকবাল। এই নামগুলো প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে ইসলামাবাদ। এখন তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ভাবনা-চিন্তা করছে পাক প্রশাসন।