নয়াদিল্লি: পিএনবি জালিয়াতি মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিকে উড়িয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ২২০০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। নীরব মোদী ভারতের ব্যাঙ্কগুলি থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেন। আর মোদীজী বলছেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার আগে আপনি আমাদের বোঝান, কীভাবে সরকারের নাকের ডগা দিয়ে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি থেকে ২২০০০ কোটি টাকা নিয়ে বেরিয়ে গেলেন নীরব মোদী।
কেন অর্থমন্ত্রী ও মোদী 'এটা হতে দিলেন', কর্নাটকের নির্বাচনী জনসভায় জানতে চান রাহুল।
গতকালই প্রধানমন্ত্রী ১১৪০০ কোটি টাকার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতি মামলায় প্রথম মুখ খুলে জানান, জনগণের অর্থ লুঠ করা মেনে নেওয়া হবে না। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রাহুলের অবশ্য দাবি, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পরিমাণ ২২ হাজার কোটি টাকা।
বিধানসভা ভোট হতে চলা কর্নাটকে শনিবারের জনসভায় রাহুল সেখানকার দ্বাদশ শতাব্দীর সমাজ সংস্কারক বাসবেশ্বরকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন। রাহুল বলেন, বাসবেশ্বর পাঁচটি নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। চুরি কোরো না, ইন্ধন দিও না, হিংসায় প্ররোচনা দিও না, মিথ্যা বোলো না, নিজেকে নিয়ে অহঙ্কার কোরো না, ক্রোধ-রোষ ছড়িও না। নরেন্দ্র মোদী যখন কর্নাটকের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেন, ওনার ডান দিকে তখন থাকেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পা, যিনি জেলে গিয়েছেন, আরেকদিকে থাকেন আরও ৪ মন্ত্রী, যাঁরাও জেলে ঢুকেছেন।
মোদী 'দীর্ঘ ভাষণ' দেন, কিন্তু রাফালে যুদ্ধবিমান ডিল নিয়ে চুপ করে থাকেন বলে কটাক্ষ করেন রাহুল। বলেন, মোদী নোটবন্দি করেছেন, গব্বর সিং ট্যাক্স চালু করে কয়েক লক্ষ টাকার ব্যবসা ধ্বংস করেছেন। কিন্তু জয় শাহের (বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ছেলে) ব্যবসা মাত্র তিন মাসে ৫০ হাজার থেকে ৮০ কোটি টাকায় উঠে যায়। এ নিয়ে কিন্তু মোদী কিছু বলেন না।
মোদী সরকার সমাজে বিভাজন ঘটাচ্ছে, দলিত ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করছে বলেও অভিযোগ রাহুলের।
রাহুল বলেন, ২০১৪-র লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদী অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিল প্রত্যেক ভারতীয়র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকবে, ২ কোটি যুবকের চাকরি হবে, ভারতকে দুর্নীতিমুক্ত করবেন। উনি কি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন?