সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সঞ্জয় রাউত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গোপনে কোনও আলোচনা চালাচ্ছি না। একটা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। আমরা তার জন্য দায়ী নই। বিধানসভায় সবচেয়ে বড় দল হিসাবে বিজেপিকেই প্রথমে সরকার গড়তে ডাকা উচিত। তারা যদি সরকার গড়তে না পারে, আমরা দাবি জানাব।’ গত ২৪ অক্টোবর রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর সঞ্জয় রাউত ইতিমধ্যে দু’বার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য দেখা করলেন।
অন্যদিকে, অমিত শাহর সঙ্গে ফঢনবীশের বৈঠকে সরকার গঠন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি করা হয়। সরকারিভাবে বলা হয়, রাজ্যের কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়েই দুজনের কথা হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ফঢনবীশ বলেছেন, ‘সরকার গঠন নিয়ে অন্যরা কী বলছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে শীঘ্রই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’ পরে বিজেপির মহাসচিব ভূপেন্দ্র যাদবের সঙ্গেও বৈঠক করেন ফঢনবীশ।
২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি আসন। শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। সরকার গড়ার মতো সংখ্যা বিজেপি-শিবসেনা জোটের আছে। কিন্তু ফলপ্রকাশের পরেই শিবসেনা দাবি করে, ৫০-৫০ ফর্মুলার ভিত্তিতে সরকার গড়তে হবে। আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদটি তাদের ছেড়ে দিতে হবে। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে দাবি করেন, মে মাসে লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহ তাঁকে কথা দিয়েছিলেন, ৫০-৫০ ফরমুলায় সরকার গঠন করা হবে। যদিও বিজেপি এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা মানতে চায়নি।
তবে বিজেপি শিবির আশাবাদী যে, শিবসেনার সঙ্গে দুরত্ব মিটিয়ে একটা সমাধানসূত্র বার করা যাবে। এবং দ্রুত সরকার গঠন নিয়ে জটিলতা মিটবে।