মুম্বই: কোনওক্রমে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ভাইয়ের ইউনানি মেডিক্যাল ডিগ্রি দেখিয়ে দিব্যি চলছিল ডাক্তারি। কিন্তু ভুয়ো ডাক্তারের 'ডাক্তারি'তে এক রোগীর মৃত্যু হওয়ার পর জালিয়াতি ফাঁস হয়ে গেল। দেওনার পুলিশ এই হাতুড়ে ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে।

'চিকিত্সা' চলাকালে ২৫ বছরের এক যুবককে ওই ভুয়ো ডাক্তার একটি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন। এরপরই যুবকের মৃত্যু হয়।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে শাহবাজ আলম সিদ্দিকি নামে ওই ভুয়ো ডাক্তার নিজের ডিসপেনসারিতে গত চার বছর ধরে ভাইয়ের ডাক্তারি ডিগ্রির শংসাপত্র সাজিয়ে রেখে অপকর্ম চালিয়ে গিয়েছেন। ভাইয়ের কাছ থেকেই সিদ্দিকি ইঞ্জেকশন দেওয়া শিখেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গোবন্দীর সঞ্জয় গাঁধী নগরের যুবক প্রদীপের জ্বর হয়েছিল। চিকিত্সার জন্য গত ৫ নভেম্বর তিনি সিদ্দিকির কাছে আসেন। প্রথমে ওষুধ দিয়েছিলেন সিদ্দিকি। তাতে জ্বর না কমায় পরের দিন ডিসপেনসারিতে এলে সিদ্দিক প্রদীপকে ইঞ্জেকশন দেন।

গত ৭ নভেম্বর প্রদীপ সিদ্দিকির কাছে যান। কিন্তু সেদিন তাঁর ক্লিনিক বন্ধ থাকায় প্রদীপ টাটা নগরের অন্য এক চিকিত্সকের কাছে যান। পরের দিন ফের সিদ্দিকির কাছে যান তিনি। কিন্তু ওই দিনও ক্লিনিক বন্ধ ছিল।এরইমধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রদীপ শতাব্দী হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাঁকে রাজওয়াড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রদীপকে সিওন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর তাঁকে কেইএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে যাওয়ার পথে গত বুধবার  প্রদীপের মৃত্যু হয়।

পুলিশের পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে, প্রদীপকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। এরফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।