জম্মু ও নয়াদিল্লি: সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষ্ণঘাঁটিতে যে দুই ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছেন, তাঁরা হয়ত নিজেদের অজান্তেই শত্রুর পাতা মৃত্যুফাঁদে পা দিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করছেন গোয়েন্দারা।
সেনা সূত্রে খবর, কৃষ্ণঘাঁটির যে জায়গায় এদিনের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ন্ত্রণরেখার একেবারে ঘেঁষা। জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল যে, ওই এলাকায় ভারতের দিকে ল্যান্ডমাইন পেতে রেখেছে পাক বাহিনী।
খবর পেয়েই, ওই ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করতে বেরিয়ে পড়েন সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও সেনা জওয়ানরা। দলে ৭-৮ জন ছিলেন। সেখানেই আচমকা পাক সেনার বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট) টিম তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
সেনা সূত্রে জানানো হয়, প্রথমে পাক বাহিনী সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ওই অঞ্চলে ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার-বর্ষণ শুরু করে। একইভাবে, মর্টার ও ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয় মাইন-সুইপিং পার্টির ওপরও।
সম্ভবক ওই হানায় দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে একজন বিএসএফ ও আরেকজন সেনা জওয়ান ছিলেন। সেনার এক অফিসার জানান, ভারতীয় জওয়ানরা যেখানে ল্যান্ডমাইন খুঁজছিল, সেখানেই ঘাপটি মেরে বসেছিল ব্যাট টিম।
২ জওয়ান মারা যেতেই, সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মুণ্ডচ্ছেদ করে চলে যায় ব্যাট টিম। সেনা সূত্রে খবর, এর জন্য ব্যাট টিম ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ২৫০ মিটার ভিতরে চলে এসেছিল।
এই বিষয়টিই থেকেই গোয়েন্দাদের মনে সন্দেহ মাথাচাড়া দিচ্ছে। তাঁদের মতে, আদৌ ওই এলাকায় কোনও ল্যান্ডমাইন ছিল কি না, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, সম্ভবত, জওয়ানদের ফাঁদে ফেলার জন্যই ভুয়ো ল্যান্ডমাইনের খবর দেওয়া হয়েছিল।
কারণ, তারা জানত, খবর মিলতেই ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর থেকে মাইন-সুইপার দল তা নিষ্ক্রিয় করতে আসবে। আর সেখানই অপেক্ষা করবে মৃত্যু।