নয়াদিল্লি: কৃষকদের ভাবাবেগকে মর্যাদা দিয়ে নয়া বিতর্কিত কৃষি আইনগুলি বাতিল করা উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এমনই মন্তব্য করেছে শিবসেনা। মহারাষ্ট্রের শাসক দল বলেছে, এমনটা করলে তাঁর মর্যাদা আরও বেড়ে যাবে। দলের মুখপাত্র সামনা-য় প্রকাশিত নিবন্ধে সুপ্রিম কোর্টকে শিখণ্ডি করে কৃষকদের চলতি বিক্ষোভে খতম করার চেষ্টার অভিযোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে।


সুপ্রিম কোর্ট গত মঙ্গলবার নয়া কৃষি আইনের রূপায়ন পরিবর্ত আদেশ পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। সেইসঙ্গে কেন্দ্র ও দিল্লির সীমানা এলাকাগুলিতে বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে চলতি অচলাবস্থার নিষ্পত্তির জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সামনা-র নিবন্ধে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরও এই ইস্যুতে অচলাবস্থার অবসান হয়নি। সেইসঙ্গে বিক্ষোভরত কৃষকরাও এই কমিটির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করেছে বলে নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ, কমিটির চার সদস্যই এর আগে ওই আইনগুলিকে সমর্থন করেছিলেন বলে অভিযোগ।
সামনা-য় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির উচিত কৃষকদের এই প্রতিবাদ ও সাহসকে স্বাগত জানানো। কৃষকদের ভাবাবেগকে সম্মান জানিয়ে তাঁর এই আইনগুলি বাতিল করা উচিত। আর তা করলে মোদির মর্যাদা আরও অনেক বড় হবে। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষক সংগঠনগুলির প্রস্তাবিত ট্রাক্টর মিছিলের উল্লেখ করে নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠুক, এমনটা সরকার না চাইলে, কৃষকদের মনোভাব বোঝার প্রয়োজন রয়েছে।
সামনা-য় আরও বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রতিবাদ চলাকালে ৬০ থেকে ৬৫ জন কৃষক জীবন বলিদান দিয়েছেন দাবি করে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর এত শৃঙ্খলাবদ্ধ আন্দোলন দেশ দেখেনি। কৃষকদের বিক্ষোভে খালিস্তানি অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র যে দাবি করেছে, তাকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছে সামনা।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রতিবাদে যদি খালিস্তানিদের অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে, তাহলে এর ব্যর্থতা সরকারেরই। সরকার চায় না প্রতিবাদ শেষ হোক এবং বিক্ষোভকে দেশদ্রোহিতার রং দিয়ে সরকার রাজনীতি করতে চাইছে বলেও সামনা-র নিবন্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে যা হওয়ার তা এখনই হতে হবে। কৃষক সংগঠনগুলি করব, নয় মরব মনোভাব নিয়েছে। নিবন্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মানতে না চাইলে লক্ষ লক্ষ কৃষকদের কি দেশ-বিরোধী বলে দেগে দেওয়া হবে?