নয়াদিল্লি: দিল্লি- তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন দশম দিনে পড়ল। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চালু হল আরও একটি লঙ্গর বা কমিউনিটি কিচেন। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য যাঁরা লড়ছেন, যাঁরা আপামর দেশবাসীর মুখে অন্ন তুলে দেন, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেই এই পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন এর উদ্যোক্তারা।

ইতিমধ্যেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পঞ্জাবের শিল্পীরা। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে মুসলিম ফেডারেশন অব পঞ্জাব। এই সংগঠনের নেতা ফারুকি মুবিন বলেছেন,  ’’যতদিন আন্দোলন চলবে ততদিন এই লঙ্গরখানা চলবে। কৃষকেরা আমাদের জন্য এত করেন, এখন তাঁদের জন্য আমাদের করার সময় এসেছে। ওদের দেখভাল করা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। ২৫জনের এই দল সবসময় খেয়াল রাখবে যেন লঙ্গরখানাো চালু থাকে।‘‘  মুবিনকে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।

শুধু মুসলিম ফেডারেশন অব পঞ্জাবের তরফেই নয়, কৃষকদের জন্য আরও বেশ কয়েকটি লঙ্গরখানা চলছে দিবারাত্র। শনিবারও কেন্দ্রের সঙ্গে পঞ্চম দফার বৈঠক হয়েছে কৃষক সংগঠনের নেতাদের। কিন্তু রফাসূত্র অধরা। কৃষকেরা চাইছেন তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র। চাপের মুখে মোদি সরকার আইন সংশোধনে রাজি হলেও তাতে সায় নেই কৃষক সংগঠনের। কেন্দ্র তাঁদের দাবি মানতে রাজি না হলে আরও বড় মাপের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে কৃষক সংগঠনগুলি।