Farmers Protest Live Updates: আজ সদ্ভাবনা দিবস পালন করছেন আন্দোলনরত কৃষকরা
রাকেশ সংবাদমাধ্যমের সামনে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেন, গ্রেফতারের দরকার নেই, তিনি গলায় দড়ি দেবেন।
সিঙ্ঘুতে প্রচণ্ড অশান্তি চলছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, কৃষকরা মাসের পর মাস তাঁদের রাস্তা দখল করে রেখেছেন, এতে যাতায়াতের যেমন অসুবিধে হচ্ছে, তেমনই রুজিরোজগার সঙ্কটে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। তলোয়ারের আঘাতে এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক, ভারতীয় জাতীয় পতাকার অপমান করা হয়েছে। বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কৃষি আইন সমর্থন করে তিনি বলেছেন, কৃষি খরচের দেড়গুণ এমএসপি দেওয়া হচ্ছে, কৃষি আইনে ১০ কোটি কৃষকের লাভ হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক, সেদিন জাতীয় পতাকার অপমান করা হয়েছে। স্বাধীনতার অর্থ নিয়ম-নীতি পালন না করা নয়, কৃষি আইনের ফলে কোনও ক্ষতি কৃষকদের হয়নি।
গোটা লাল কেল্লা তাণ্ডবই কৃষকদের বদনামের চক্রান্ত। আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলতে তৈরি। নোটিসের জবাব দেব, তবে আন্দোলন চলবে। বললেন রাকেশ টিকাইত।
কেন্দ্রীয় সরকার গাজিপুর সীমানায় পুলিশ ফোর্সকে প্রস্তুতির সময় দিয়েছে। এ জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে RAF-কে। আগে এ জন্য সময় দেওয়া হয় ২৮ তারিখ পর্যন্ত।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া গাজিপুর সীমানা যাচ্ছেন। রৃষকদের জন্য জল ও অন্যান্য পরিষেবার ব্যবস্থা করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও আপ নেতা রাঘব চাড্ডা।
লাল কেল্লা তাণ্ডবে খালিস্তানি হাত থাকার প্রমাণ মিলল। খালিস্তানি টুইটার হ্যান্ডলে ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়। এদের দিকে নজর রাখছে দিল্লি পুলিশ। এরা কখন কী টুইট করে লোক খেপিয়েছে, তার সমস্ত তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে।
অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, রাকেশ টিকাইতের সঙ্গে কথা বলে তাঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কৃষক আন্দোলনের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন।
বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী জানিয়েছেন, কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে আজ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করবে তারা। তিনি টুইট করে বলেছেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার করে দিল্লি ও আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কেন্দ্রকে ফের অনুরোধ করছেন। লাল কেল্লার তাণ্ডবে নির্দোষ কৃষক নেতাদের বলির পাঁঠা না করারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, গাজিপুর সীমানা আসা যাওয়ার রাস্তা তারা বন্ধ করে দিয়েছে।
২৬ জানুয়ারির তাণ্ডবের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ ৬ অভিযুক্তের খোঁজ করছে। সিসিটিবি ফুটেজ ও ফটোর সাহায্যে এদের চিহ্নিত করেছে তারা। জানা যাচ্ছে, পুলিশ ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের জন্য ১০ জন ফটোগ্রাফার ও ১০টি ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছিল। কৃষকদের সেদিনের তাণ্ডব ধরা পড়ে এই সব ক্যামেরায়।
প্রেক্ষাপট
গাজিয়াবাদ: যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশের পরেও দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়লেন না বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের শত শত সদস্য রাস্তায় বসে রয়েছেন। ইউপি গেট ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য গাজিয়াবাদ প্রশাসন তাঁদের চরমপত্র দেয়।
গতকাল সন্ধে থেকে ইউপি গেটে একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। গভীর রাতে গাজিয়াবাদের জেলা শাসক অজয় শঙ্কর পাণ্ডে ও সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট কলানিধি নৈথানি বিক্ষোভস্থলে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। গতকাল থেকে এই এলাকায় মোতায়েন হয়েছেন কয়েকশো নিরাপত্তারক্ষী, তাঁদের সকলের পরনে দাঙ্গা বিরোধী আভরণ।
৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২৮ নভেম্বর থেকে দলবল নিয়ে এখানে বসে রয়েছেন রাকেশ টিকাইত। গতকাল সন্ধেয় তাঁদের এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় যোগী প্রশাসন। কিন্তু এরপরেই উত্তর ভারতে প্রভাবশালী হিসেবে খ্যাত ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের ডাকে মূলত পশ্চিম উত্তর প্রদেশ থেকে দলে দলে এখানে আসতে থাকেন কৃষকরা। রাকেশ সংবাদমাধ্যমের সামনে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেন, গ্রেফতারের দরকার নেই, তিনি গলায় দড়ি দেবেন। এরপরই ভিওয়ানি, হিসার, কৈথাল, জিন্দ, মুজফফরনগর, মীরাট, বাগপত, বিজনৌরের মত জায়গা থেকে কৃষকরা রওনা দেন গাজিপুরের দিকে। পরিস্থিতি দেখে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে দুদিক থেকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।
গাজিয়াবাদ পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বিরাট সংখ্যক পুলিশকর্মী বিক্ষোভস্থলে মোতায়েন করায় উত্তেজনা তৈরি হচ্ছিল। তাই বেশিরভাগ পুলিশ আপাতত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, অল্প কয়েকজন ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছেন, পাশাপাশি ওড়াচ্ছেন কিষাণ একতা মঞ্চের নিজস্ব পতাকা। সঙ্গে চলছে স্লোগান, জয় জওয়ান, জয় কিষাণ। তাঁদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কৃষকদের প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে। জেলা প্রশাসনও উঠে যাওয়ার কোনও নির্দেশ তাঁদের দেয়নি। তাহলে ইউপি গেট খালি করে তাঁরা উঠে যাবেন কেন।
জেলা প্রশাসন মৌখিকভাবে ভারতীয় কিষাণ মোর্চাকে এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। লাল কেল্লার তাণ্ডবের পর ৩টি কৃষক সংগঠন ইতিমধ্যেই বিক্ষোভস্থল ছেড়ে চলে গিয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -