ইতিমধ্যেই অকালি নেতা প্রেমসিং চন্দু মাজরার নেতৃত্বে কলকাতায় এসেছে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। গতকালই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে কথা বলেন আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে। শুক্রবার দুপুরে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূর থেকে, আন্দোলনরত চাষিদের পাশে দাঁড়ান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু বর্ডারে আন্দোলনকারীদের কাছে ডেরেক’ও ব্রায়েনকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সাংসদের ফোনেই একাধিকবার কৃষকদের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, " আপনাদের দাবিদাওয়ার কথা জানি। ওখানে দেবেন্দ্রজি আছেন, ডেরেক ও’ব্রায়েন আছেন। যত কৃষক ভাইবোন আছেন, সবার পাশে আছি। আপনারা কৃষকদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন, সেজন্য অভিনন্দন। জোর করে কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে আমিও ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। এই আন্দোলন আমাদের সবার আন্দোলন। সবার আন্দোলন। গোটা দেশের আন্দোলন। কৃষকদের আন্দোলনে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত বাংলা। আপনারা চাইলে লোক পাঠাতে পারি। কৃষক বিরোধী আইন প্রত্যাহার করতে হবে।"
অন্যদিকে আজ পঞ্চম দফার বৈঠক হওয়ার কথা। এরই মাঝে গতকাল কেন্দ্র-বিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে মোদি-বিরোধী বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। দেশের সমস্ত রাজ্যের কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার পঞ্চমদফা বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বৈঠকে অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরও।
তোমরের আশা, "আজ দুপুরে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক আছে। আমরা আশাবাদী যে কৃষকরা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করবেন এবং আন্দোলন তুলে নেবেন।"
এদিকে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে ফের পথে নামে বামেরা। বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাঙল কাঁধে মিছিল করে কেরানি বাঁধ মোড়ে জড়ো হন বাম-কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। এরপর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।