নয়াদিল্লি: সামান্য ঝগড়ার জেরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে খুনের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল পশ্চিম দিল্লির উত্তম নগরের জনৈক বাসিন্দাকে। পুলিশের দাবি, অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে সে।

ধৃতের নাম ইশতিয়াক আলি। একটি ফ্যাশন ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করে বেরিয়ে সে বিভিন্ন রফতানিকারী সংস্থায় স্যাম্পলিং ম্যানেজারের কাজ করত। উল্টোদিকে মৃত আয়ুষ নৌটিয়াল বিকম পড়ুয়া। ঘটনার দিনদশেক আগে একটি ডেটিং অ্যাপে তাদের আলাপ হয়।

অভিযোগ, ২২ তারিখ ইশতিয়াক খুন করে আয়ুষকে। তারপর আয়ুষকে অপহরণের গল্প সাজায়। মৃতের মোবাইল থেকে তার বাবার কাছে একটি এসএমএস পাঠায় সে, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে। আয়ুষের বাবা পুলিশে যান, দায়ের হয় অভিযোগ।

আয়ুষের ফোন সুইচ অফ হয়ে গেলে ইশতিয়াক হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা শুরু করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ২৬ তারিখ বলে, উত্তম নগরের কাছে এসে দিতে হবে মুক্তিপণের টাকা। কিন্তু নিজে সেই টাকা নিতে আসেনি।

এর মধ্যে দ্বারকার ১৩ নম্বর সেক্টরে একটি নালা থেকে উদ্ধার হয় আয়ুষের দেহ। সিসিটিভি ফুটেজের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয় ইশতিয়াককে। সে পুলিশকে জানিয়েছে, এক বন্ধুর সাহায্যে আয়ুষের দেহ নালায় ফেলে দেয় সে। সেই বন্ধুর খোঁজ চলছে।