নয়াদিল্লি: ফতেপুর সিক্রিতে সুইস প্রেমিক যুগলের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করে ঘটনাটি ভারতের মানুষের কাছে লজ্জার বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা। ভারতে এমন ঘটল, এটা দুর্ভাগ্যজনক, বলেছেন তিনি।
দুই সুইস নাগরিকের ওপর গত রবিবারের একদল যুবকের হামলার কথা শুনে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের রিপোর্ট চেয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

মহেশ বলেছেন, বিদেশমন্ত্রী ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এটা আইনশৃঙ্খলার ব্যাপার, তবে সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং সর্বোপরি একজন মানুষ হিসাবে বিদেশি পর্যটকদের ওপর আক্রমণের নিন্দা করছি। আমাদের কাছে এটা লজ্জার, এটা হওয়া উচিত ছিল না।

পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখেও সুইস প্রেমিক যুগলের ওপর হামলায় তিনি 'গভীরভাবে বিচলিত' বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী কে জে আলফোনস। লিখেছেন, আশা করি আপনি সহমত হবেন যে, এ ধরনের ঘটনায় আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে, ভারতকে পর্যটনের গন্তব্য হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টাও মার খাবে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দোষী ঘোষণা করা সহ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ সুনিশ্চিত করা হলে ভরসা দেওয়া যাবে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আমাদের প্রয়াস সম্পর্কেও তা ইতিবাচক বার্তা দেবে।

কুইনটিন জেরেমে ক্লার্ক ও তাঁর বান্ধবী মেরি ড্রোজকে ফতেপুর সিক্রিতে তাড়া করে একদল দুষ্কৃতী, লাঠি ও পাথর দিয়ে হামলা চালায় তাঁদের ওপর। সুইজারল্যান্ডের লওসেন থেকে আসা দুজন স্থানীয় রেল স্টেশনের কাছে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাঁদের অনুসরণ করছিল হামলাবাজদের দলটি। দুজনেই রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে থাকেন যন্ত্রনায়। পথচারীরা তাঁদের ভিডিও তোলেন।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান, নানা সময়ে অপরাধমূলক ঘটনার জেরে ভারতে হালে বিদেশি পর্যটকদের আসা ২৯.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

২০১৪ থেকে ব্যুরো দেশে বিদেশি পর্যটকদের ওপর হামলার তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে। ২০১৪-য় সারা দেশে বিদেশিদের ওপর ৩৮৪টি নিগ্রহের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০১৫-য় অবশ্য সংখ্যাটা কমে হয় ২৭১।

ভারতে বিদেশি দর্শনার্থীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগে বিশ্বজুড়ে হইচই শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় পর্যটক মন্ত্রক বিদেশি নিগ্রহের ব্যাপারে প্রথম বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট দেয়। সেখানেই এই পরিসংখ্যান রয়েছে।