নয়াদিল্লি: বিতর্কিত ইসলামিক ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এফসিআরএ লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করার জন্য এক আইএএস সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করল কেন্দ্র।


খবরে প্রকাশ, নায়েকের ওই এনজিও ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এফসিআরএ (ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট) লাইসেন্স নবীকরণ করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্মসচিব পদে কর্মরত আইএএস অফিসার জি কে দ্বিবেদী, ২ উপ-সচিব এবং এক বিভাগীয় অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

মূলত, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির এই লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে। কারণ, এটা না থাকলে, কোনও এনজিও বিদেশ থেকে অনুদান গ্রহণ করতে পারে না।

সম্প্রতি, মন্ত্রকের নজরে আসে যে জাকির নায়েকের এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে এই বিশেষ লাইসেন্স নবীকরণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।

যেখানে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সেখানে সেই মন্ত্রকই জাকিরের লাইসেন্স অনুমোদন করছে, এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই বিড়ম্বনায় পরে কেন্দ্র।

এরপরই, তড়িঘড়ি এই চারজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত গঠন করে ব্যবস্থাগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ট্যুইটারে জানান, গাফিলতির জন্য আরও ২ জন আন্ডার সেক্রেটারি এবং এক সেকশন অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

রিজিজু বলেন, এফসিআরএ নথিভুক্তিকরণ এবং পুনর্নবীকরণের পদ্ধতি স্বচ্ছ ও নির্ঝঞ্ঝাট রাখতে বিষয়টিকে অনলাইন করা হয়েছে। তবে, কারও বিরুদ্ধে মামলা চললে, এই ছাড়পত্র সহজে দেওয়া হয় না।

শুধু কেন্দ্র নয়, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে পৃথক তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশও। যুবকদের সন্ত্রাসের পথে চালিত করার অভিযোগ উঠেছে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অর্থকে জঙ্গি-কার্যকলাপে ব্যবহার করারও অভিযোগ উঠেছে এই ধর্মপ্রচারকের বিরুদ্ধে।

এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নাশকতা-হামলার সময় জাকির নায়েকের জঙ্গি-যোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, হামলাকারীদের একজন, রোহন ইমতিয়াজ এই জাকিরের মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

এমনকী, সে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জাকিরে বক্তব্যকে পোস্ট করত। জাকিরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, নিজের চ্যানেল ‘পিস টিভি’-তে সে সকল মুসলিমকে জঙ্গি হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।

বক্তব্যের মাধ্যমে হিংসা, ঘৃণা এবং বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড, কানাডা, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে জাকিরের চ্যানেলের সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।