গত ২২ জুন পুলিশ অফিসার শ্রেষ্ঠা ও তাঁর দল সিয়ানা এলাকায় চলাচলকারী গাড়ি পরীক্ষা করছিলেন। সেই সময় বিনা হেলমেটে মোটরবাইক চালাতে দেখে তিনি এক ব্যক্তিকে থামান এবং ২০০ টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু বাইক আরোহী নিজেকে বিজেপি নেতা বলে দাবি করে জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন। তিনি জানান যে, তাঁর নাম প্রমোদ কুমার। তিনি বিজেপি নেতা এবং তাঁর স্ত্রীও বুলন্দশহর জেলা পঞ্চায়েতের সদস্য।
কিন্ত শ্রেষ্ঠা পিছু হঠেননি। মহিলা পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে ওই বিজেপি নেতা প্রমোদের বচসা বেঁধে যায়। প্রমোদ বিজেপি নেতাদের টেলিফোন করেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের কাজের বিরোধিতা করেন। এরপর পর ভরদ্বাজও ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং শ্রেষ্ঠা ও অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ঘুষের প্রমোদের কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ আনেন।
কিন্তু শ্রেষ্ঠাকে দমানো যায়নি। সরকারি কর্তব্যে বাধা দেওয়ার জন্য পাঁচজনকে জেলে ভরেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের আঁতে ঘা লাগায় ১১ জন বিধায়ক ও সাংসদ সহ দলের একটি প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেন। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরেই মহিলা অফিসারকে বদলির ঘটনা ঘটল।
জানা গেছে, পুরো ঘটনাটিকে নিজেদের মর্যাদার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে দলের হাইকম্যান্ডের কাছে ওই মহিলা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয় বিজেপি নেতৃবৃন্দ। জানা গেছে, বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ভরদ্বাজও। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা ও কর্মীরাই উল্টে শ্রেষ্ঠার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী ও দলের অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ করেছেন।