নয়াদিল্লি: ফের অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত এক মহিলা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। ঘটনাস্থল নয়ডা।
খবরে প্রকাশ, অঞ্জলি রাঠৌর নামে বছর তেইশের ওই তরুণীকে বুধবার সকালে নয়ডার সেক্টর ৬২-র শতাব্দী রেল বিহার আবাসনের পার্কিং লটে গুলি করে হত্যা করা হয়। জানা গিয়েছে, নয়ডার সেক্টর ৬৪-এ অবস্থিত একটি মোবাইল নির্মাণকারী সংস্থায় ট্রেনি ইঞ্জিনিয়ার পদে কাজ করতেন অঞ্জলি।
পুলিশ জানিয়েছে, হরিয়ানার যমূনা নগরের জগধরির বাসিন্দা ওই তরুণীকে ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ হত্যা করা হয়। পার্কিং লটে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায় গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে। যদিও, অভিযুক্ত এখনও অধরা।
পুলিশ জানায়, নিহতের রুমমেট জ্যোতি এদিন যখন তাঁর কোচিং ক্লাসের জন্য বের হচ্ছিলেন, তখন তিনি বিল্ডিংয়ের নীচে বহু মানুষের জটলা দেখেন। কৌতুহলবশত, এগিয়ে গিয়ে দেখেন, অঞ্জলি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে। তাঁর শরীর দিয়ে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
জ্যোতি জানান, রুমমেটকে এভাবে দেখে প্রথমে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। সম্বিত ফিরে পেয়েই তিনি তৃতীয় তলে গিয়ে অন্যান্য রুমমেটদের গোটা ঘটনা জানান। সকলে মিলে গুরুতর আহত অঞ্জলিকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তরুণীর পরিবারকে খবর দেওয়া হলে, তাঁরা এদিন দুপুরেই নয়ডায় পৌঁছন। নিহতকে পোস্টমর্টেমে পাঠানো হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে একটি হত্যার মামলা রুজু করেছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়, অঞ্জলি গত এক বছর ধরে ওই সংস্থায় কাজ করতেন। আগামী মাসেই তাঁর পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে জলন্ধরের লাভলি প্রোফেশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন অঞ্জলি। ক্যাম্পাস থেকেই এই সংস্থায় চাকরি পান। উত্তররপ্রদেশের এটাওয়া নিবাসী এক পুরুষ বন্ধুর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে অঞ্জলির পরিবার।
তাঁদের দাবি, ওই বন্ধুও অঞ্জলির সঙ্গে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে। দুজনের মধ্যে ফোন রেকর্ডও পুলিশের হাতে তুলে দেয় তরুণীর পরিবার। এদিকে, নিহতের রুমমেট জ্যোতি দাবি করেন, অঞ্জলিকে এক বন্ধু সকাল ৬টা নাগাদ ফোন করে। তখনই ধর থেকে নীচে নেমে আসেন অঞ্জলি।