সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বিমানবন্দরের মধ্যেই অবস্থিত শুল্ক দফতরের ভল্টের মধ্যে থেকে গত চার বছরে প্রায় ৮০ কেজির সোনা উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রায় ২৫ কোটি টাকা মূল্যের বুলিয়ন (সোনার বাট) এবং অলঙ্কাররূপী ওই সোনা বিভিন্ন সময় পাচারকারীদের থেকে আটক করা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়। আসল সোনা ভল্ট থেকে উধাও করার সময় সেই জায়গায় নকল সোনা রেখে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।
সোনা উধাও হওয়ার প্রসঙ্গে এর আগে দিল্লি পুলিশের কাছে প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সূত্রের খবর, ঘটনায় ক্ষুব্ধ খোদ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
তিনিই উদ্যোগ নেন সিবিআই তদন্তের। সিবিআই-কে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে, উচ্চ-নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী করে ভল্ট থেকে আসল সোনা উধাও হল এবং তার জায়গায় নকল সোনা এল?
পাশাপাশি, এই কাণ্ডে শুল্ক অফিসারদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে অর্থমন্ত্রকের ভিজিলেন্স বিভাগ। জানা গিয়েছে, সোনা চুরির ঘটনা একবারে ঘটেনি। দফায় দফায় অল্প অল্প করে করা হয়েছে। চুরির ঘটনাসমূহ ২০১২ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে ঘটেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় করা এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দিল্লি শুল্ক দফতরের থেকে বলা হয়েছিল, তাদের ভল্ট থেকে প্রায় ২৩ কেজি সোনা এবং ৬ কোটি টাকা গয়েব হয়ে গিয়েছে।
এছাড়া, গত বছরের জুন মাসে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে শুল্ক দফতর জানায়, তাদের ভল্ট থেকে ১১ কেজি সোনা গায়েব হয়ে গিয়েছে।