চণ্ডীগড়: তাঁর ধর্ষক এখন হাজতবাসে। রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর প্রথমবার মুখ খুললেন নির্যাতিতা তথা অন্যতম অভিযোগকারিণী।


একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে যখন প্রথম আদালতে ওর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলাম, তখনও ও (ডেরা প্রধান) সেখানে হাজির ছিল। আমি তখনও ভয় পাইনি। এখনও পাচ্ছি না।


নির্যাতিতা বলেন, তিনি বললেন, ধর্ষক রাম রহিমকে আগেও ভয় পাইনি, এখনও পাচ্ছি না। এতদিনে মনে হচ্ছে বিচার পেলাম। তিনি যোগ করেন, তাঁকে বিভিন্ন সময়ে বহু হুমকি দিয়েছে রাম রহিম। কিন্তু, তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি।


নির্যাতিতা আরও দাবি করেন, ডেরা প্রধান কার্যালয়ে কলেজে পড়ার সময় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।বর্তমানে নির্যাতিতার বয়স ৪০ পার করেছে। সাক্ষাতকারে নির্যাতিতা আরও জানান, তাঁর ভাইকে হত্যা করেছে রাম রহিমের গুন্ডারা।


তিনি বলেন, ২০০২ সালে ওকে রাম রহিমের নির্দেশে হত্যা করা হয়। নির্যাতিতার দাবি, রাম রহিম যে তাঁর ওপর অত্যাচার করছে, তা জানতে পেরেছিল ভাই।


তিনি যোগ করেন, রাম রহিমের সন্দেহ হয়েছিল, তাঁর ভাই-ই ওই বেনামী চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যার জেরেই সিবিআই মামলা দায়ের করে। ফলে, সেই রাগে ভাইকে হত্যা করা হয়।


সেই মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই। এখনও খুনের মামলাতেও ধর্ষক বাবার উপযুক্ত সাজা হবে, আশাবাদী নির্যাতিতা।


প্রসঙ্গত, গতকাল জোড়া ধর্ষণ মামলায় ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমীত রাম রহিম সিংহ ইনসানকে ২০ বছরের সাজা শোনায় সিবিআই আদালত। রায় দিতে গিয়ে আদালত বলে, ও (রাম রহিম) নিজের ধর্মনিষ্ঠ শিষ্যাদেরও রেয়াত করেনি। একটা জঙ্গলী পশুর মতো আচরণ করেছে।


আদালত যোগ করে, এধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ দেশে বর্তমান পবিত্র আধ্যাত্মিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করেছে। একে সহানুভূতি দেখালে বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষতি হবে। পাশাপাশি, আইনের ওপর মানুষের ভরসায় আঘাত লাগবে।