আমদাবাদ: বিপদের হাত থেকে মানুষকে বাঁচিয়ে এতদিন বাহবাই পেয়েছেন আমদাবাদের দমকল ও জরুরী পরিষেবা (এএফইএস) বিভাগের কর্মীরা। কিন্তু সেই একই কাজ করে যে উটকো ঝামেলায় পড়তে হবে, তা কে জানত! সবরমতী নদীর সামনে মোতায়েন এএফইএস কর্মীরা গত বৃহস্পতিবার জলে ভেসে যাওয়া এক মহিলাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু এরপর যা হল, তা কল্পনারও বাইরে। ওই মহিলার স্বামী এএফইএস কর্মীদের সঙ্গে রীতিমতো চোটপাট শুরু করেন। এএফইএস-র কর্মী ভারত মাঙ্গেলা জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীকে কে বাঁচাতে বলেছিল, সেই কৈফেয়ত্ চান ওই ব্যক্তি।


দমকল কর্মীদের ছবি তুলে ওই মহিলার স্বামী  দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন।

জানা গেছে, বল্লভ সদনের পিছনে সবরমতী নদীতে এক বছর ৩৭-র মহিলা ঝাঁপ দেওয়ার খবর পেয়ে ছুটে আসেন এএফইএস কর্মীরা। মিঠাখালির বাসিন্দা ওই মহিলাকে উদ্ধার করে তাঁর স্বামীকে খবর দেন দমকল কর্মীরা। ওই মহিলার স্বামী সিএনজি পাম্পের মালিক। ঘটনাস্থলে এসেই দমকলকর্মীদের সঙ্গে হম্বিতম্বি শুরু করেন ওই ব্যক্তি। মাঙ্গেলা বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তির আচরণ দেখে আমরা হতবাক হয়ে যাই। এমনিতে প্রিয়জনদের প্রাণ বাঁচালে লোকজন আমাদের ধন্যবাদ জানান। কিন্তু ওই ব্যক্তি ঠিক উল্টো আচরণ করেন। তাঁকে বোঝাই যে, জীবন বাঁচানোই আমাদের কাজ। কিন্তু কে শোনে কার কথা’!

পরে পুরো ঘটনা রিভারফ্রন্ট থানায় জানানো হয়। সেখানে এএফইএস কর্মী, ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। ইন্সপেক্টর জেএ ভাগোরা জানিয়েছেন, ওই দম্পতির ১০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই সন্তান। পারিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই স্বচ্ছ্বল। দাম্পত্য কলহেই ওই মহিলা আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের প্রতি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর সন্দেহ করছিলেন। শেষপর্যন্ত দম্পতি তাঁদের বিবাদ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে যান।