রাঁচি: আইন কার্যকর হয়েছে ১২ বছর আগে। কিন্তু সেই আইনে এই প্রথম কারুর সাজা হল। সাজাপ্রাপ্ত অবশ্য হেলাফেলার কেউ নন। তিনি ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী। আর্থিক তছরুপ মামলায় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী হরি নারায়ণ রাইয়ের সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। ১২ বছর আগে চালু হওয়া আর্থিক তছরুপ মোকাবিলা আইন (পিএমএলএ)-এ তিনিই প্রথম দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পেলেন। গতকাল বিশেষ বিচারক বি কে তিওয়ারি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার মন্ত্রীসভার সদস্যকে সরকারি ৩.৭২ কোটি টাকা তছরুপের মামলায় সাজা দিলেন।


২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে এই আর্থিক তছরুপের ঘটনার হদিশ পায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। এই মামলায় রাই ছাড়াও মধু কোড়া সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

ইডি-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০০৫-০৮ পর্যন্ত সময়ে মন্ত্রী থাকাকালে রাই সরকারি অর্থের তছরুপ করে সেই বেআইনি আয় দিয়ে অনেকগুলি সম্পত্তি কেনেন। এভাবে সরকারি অর্থ নিজস্ব স্বার্থে তছরুপ করেন তিনি।

দুমকা জেলার জারমুন্ডি আসন থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত রাই অর্জুন মুন্ডা ও শিবু শোরেনেরও মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

ইডি জানিয়েছে, পিএমএলএ-র ৩ ও ৪ নম্বর ধারায় রাই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁর ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দেড় বছর কারাবাসের সাজা ঘোষণা হয়েছে।