নয়াদিল্লি: সপ্তদশ লোকসভার সদস্য হিসেবে সোমবার শপথ গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সহ নতুন মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্যরা। সোমবারই লোকসভার প্রোটেম স্পিকার হিসেবে মধ্যপ্রদেশের তিকামগড় কেন্দ্র থেকে জয়ী বিজেপি সাংসদ বীরেন্দ্র কুমারকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বীরেন্দ্র কুমার শপথ নেনে রাষ্ট্রপতি ভবনে।


সপ্তদশ লোকসভায় শপথ নিলেন  পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোদি মন্ত্রীসভার দুই সদস্য বাবুল সু্প্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরিও। ইংরাজিতে শপথ নিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল। পূর্ব ঘোষণা মতো বাংলায় শপথবাক্য পাঠ করেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি। সংস্কৃত ভাষায় শপথবাক্য পাঠ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। সংস্কৃত ভাষাতে শপথবাক্য পাঠ করেন শ্রীপদ নায়েক, অশ্বিনী চৌবে, প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গিও। হিন্দিতে শপথবাক্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ তাঁর মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্য। অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ প্রত্যেকেই হিন্দিতে শপথবাক্য পাঠ করেন। এছাড়াও মধুবনি, অসমীয়া, পঞ্চাবি, ওড়িয়া, তেলেগু ভাষাতেও শপথ নেন অনেকে। তবে এদিন, ভোজপুরিতে শপথবাক্য পাঠ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও বিহারের সাংসদ জর্নার্ধন সিংহকে তা করতে দেওয়া হয়নি। লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল জানিয়ে দেন, সংবিধানের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় তিনি ভোজপুরিতে শপথ নিতে পারবেন না।








প্রসঙ্গত, সোমবার প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠের সময় সংসদের নিন্মকক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের সাংসদ মুলায়ম সিংহ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুখ আব্দুল্লা, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি  এবং রাজাও। তবে এদিন সংসদে দেখা যায়নি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে। যদিও কংগ্রেস সভাপতি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, আজই লোকসভায় চতুর্থবারের জন্য পথ চলা শুরু হবে তাঁর। কেরলার ওয়েনাড় থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি এবং আজ বিকেলেই শপথ নেবেন।


আজ সপ্তদশ লোকসভায় শপথ নিয়েছেন বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। অমেঠি কেন্দ্র থেকে রাহুল গাঁধীকে হারিয়ে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তাঁর এই লড়াইকে সর্বোত্তম অভিবাদন দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন মোদি, শাহ, রাজনাথ সহ গোটা এনডিএ সাংসদরা।