জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এস পি বৈদ সিআরপিএফ জওয়ানদের প্রশংসা করে বলেছেন, জওয়ানদের যেভাবে লাথি, ঘুঁষি মারা হয়েছে এবং হেনস্থা করা হয়েছে, তাতে বিশ্বের অন্য কোনও দেশের সশস্ত্রবাহিনী হলে পাল্টা আক্রমণ করত। কিন্তু গুলি না চালানোর নির্দেশ পালন করেছেন জওয়ানরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাদুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন করে যে দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, তার একটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে এক তরুণ পাথর ছুঁড়ছে। ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের এক জওয়ান তার মাথায় গুলি করছেন। অপর ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পাথরের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য সেনাবাহিনীর জিপের সামনে এক তরুণকে বেঁধে রাখা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এই ঘটনাকে বেদনাদায়ক আখ্যা দিয়েছেন।
ডিজিপি বলেছেন, ওই তরুণের মাথায় গুলি করার ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে যদি সংশ্লিষ্ট জওয়ান দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুসারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি নতুন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।