চেন্নাই: তামিলনাড়ুর শাসক দলে জোর বিদ্রোহ। একদিকে যেমন বেড়েই চলেছে পনীরসেলভমের সমর্থন, অন্যদিকে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু শশীকলা-শিবির।


রবিবার, আরও পাঁচ সাংসদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছন। ফলে, পনীরসেলভমের সমর্থনে এখন সাংসদ-সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০।


এদিন সকালে পনীরসেলভমের গ্রিনওয়েজের বাসভবনে গিয়ে তাঁকে সমর্থন করার অঙ্গীকার করেন লোকসভার চার সাংসদ—জয়সিংহ ত্যাগরাজ নাত্তেরজি, সেঙ্গুত্তুভম, আর পি মারুতরাজা এবং এস রাজেন্দ্রণ।


সংসদে এআইএডিএমকে-র ৫০ জন সাংসদ রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৭ জন লোকসভার আর ১৩ জন রাজ্যসভার। এদিনের আগে আরও পাঁচ সাংসদ পনীরসেলভম শিবিরে যোগ দেয়। অন্যদিকে, ১৩৭ দলীয় বিধায়কদের মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে রয়েছেন ৬ জন বিধায়ক।


একইসঙ্গে, এদিনই শশীকলা শিবির থেকে বেরিয়ে এসে পনীরসেলভমকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যসভার সাংসদ আর লক্ষ্মণন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই লক্ষ্ণণনকে জেলা সচিবের পদ থেকে বরখাস্ত করেন শশীকলা।


জয়ললিতার মৃত্যুর পর পনীরসেলভম বনাম শশীকলার ক্ষমতা দখলের ‘বেনজির’ লড়াই নিয়ে এখন জর্জরিত শাসক এআইএডিএমকে।


প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী পদে শশীকলাকে বসাতে পনীরসেলভম ইস্তফা দিলেও, পরে দলের সাধারণ সম্পাদক শশীকলার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল।


অন্যদিকে, একের পর এক সাংসদ-বিধায়কদের বিদ্রোহে শপথগ্রহণ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় শশীকলা এদিন জানান, রাজনীতিতে একজন মহিলাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। যদিও, তিনি আশ্বাস দেন, আগামী সাড়ে চার বছর ধরে মানুষের সেবা করবে এডিএমকে সরকার।